তাড়াশে জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে ওসির মতবিনিময়
শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ ঃ সরকার পতনের পর আইন-শৃঙ্খলা ও সারাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কর্মবিরতি স্থগিত করে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ভুল-ত্রুটি শুধরে নতুন ধারায় কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানায় পুলিশ। পরস্পরের সহযোগিতার মাধ্যমে শৃঙ্খলা বেড়াতে তাড়াশ উপজেলা জামায়াতে নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন তাড়াশ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম। তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিস কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মে যোগদানের জন্য পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা জামায়াত ও শিবির নেতৃবৃন্দ।স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন থেকে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ না, জামায়াত-বিএনপি সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তাড়াশ উপজেলা জামায়াতের আমির খম সাকলইন। তিনি বলেন, ‘এরপরে যারা দেশ পরিচালনায় আসবেন তারা যেনো জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হয়। একই রাস্তায় যেন তারা না চলেন। এখান থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। মানুষের সঙ্গে জুলুম করলে কী পরিণতি হয় সেটা সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। তাদের শিক্ষা নিতে হবে যাতে একই গর্তে জাতি না পড়ে।’ # শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ
হাটিকুমরুল মহাসড়কে মাইক্রো-ট্রাক সংঘর্ষ একই পরিবারের ৪ জন নিহত
শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ ঃসোমবার ভোরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল গোল চত্ত্রের পাশে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত এবং মাইক্রোর চালক আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, জসীম উদ্দিন(৬৫) তার স্ত্রী ময়না খাতুন(৬০)ছেলে জামাল হোসেন (৪৫) ও কামাল হোসেন(৪২)। আহত মাইক্রো চালক আথিকুর রহমান(২২)। এদের সবার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। নিহতরা সবাই মাইক্রোর যাত্রী ছিলেন।
সলঙ্গা থানার ডিএসবি’র অপারেটর মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, জসীম উদ্দিন অসুস্থ ছিলেন। ঢাকায় চিকিৎসা শেষে রোববার রাতে তিনি তার স্ত্রী ও তার দুই ছেলেকে নিয়ে মাইক্রোতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। উক্ত স্থানে এই দূঘর্টনায় স্ত্রী ও সন্ত্রানসহ তিনি মারা যায়। ঘাতক ট্রাকটি দূঘর্টনার পরই পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে উল্লাপাড়ার সলঙ্গা থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ
নতুন কারিকুলাম বাতিল করে শিক্ষা সেক্টরে সংস্কার জরুরি
শাহজাহান আলী ঃ নতুন কারিকুলামের নামে শিক্ষাখাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার। জাতি বিনাশী এই শিক্ষা কারিকুলাম নতুন প্রজন্মকে অন্ধ বধির আর প্রতিবন্ধী হিসেবে গড়ে তোলার এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও মনে করেন অভিভাবকরা। অন্য দিকে শিক্ষা প্রশাসনে ১৫ বছরে যারা রাজনৈতিক পরিচয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে শিক্ষা সেক্টরকে একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন তাদের সেই ভিতকে ভেঙে দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই নতুন উপদেষ্টা পরিষদের নিকট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা সেক্টরে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অভিভাবকরা মনে করেন শিক্ষার যে মূল দাবি অর্থাৎ সন্তাননদের নীতি আদর্শের ভিত্তিতে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা কিন্তু বর্তমান এই শিক্ষা কারিকুলামে এর সবকিছুই অনুপস্থিত। শিক্ষার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা হচ্ছে নির্লজ্জ আর বেহায়াপনার আদলে। নতুন কারিকুলামে পারিবারিক বন্ধন আর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বিলুপ্ত করে পিতামাতার শাসনকে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভ ও ক্রোধের জন্ম দিচ্ছে।
যদিও নতুন এই কারিকুলাম নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক শুরু হয় শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের মধ্যে। কিন্তু এই কারিকুলামের বিরুদ্ধে যে বা যারাই কথা বলেছে বা বিরোধিতা করেছে তারাই সরকারের রোষানলে পড়েছেন। অনেক অভিভাবকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও প্রতিবাদ থেমে থাকেনি। এখন নতুন এই বাংলাদেশে তাই নতুন করে ভাবতে ও নিজের কথা স্বাধীনভাবে বলার অধিকার ফিরে পেয়ে সাহস সঞ্চার হয়েছে অভিভাবকদের মনে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আঃ হালিম ইসলামিক স্কলার গবেষক মাওলানা আঃ সালাম করেন শেখ হাসিনার ছেলেকে খুশি করতে গিয়ে মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণীতে আইসিটি সাবজেক্ট কারিকুলামে ঢুকিয়েছে। দুনিয়ার কোনো দেশেই ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে এই বিষয় ঢোকানো হয়নি। তাহলে বাংলাদেশে কেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই কাজটি করা হলো? তোষামোদিরতো একটা মাত্রা বা সীমা আছে। আমাদের আগামীর প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে হলেও তাকে খুশি করে যেতে হবে।
তারা জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রমের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো বিভাগ (সাইন্স, আর্টস, কমার্স) উঠিয়ে দেয়া। বিভাগ উঠিয়ে দিয়ে সবার জন্য ১০টি বিষয় বাধ্যতামূলক করা খুবই অন্যায় হয়েছে। এইটা করতে গিয়ে বিজ্ঞানকে কাটাছেঁড়া করতে হয়েছে। এটা করতে গিয়ে উচ্চতর গণিতকে একদম বাদ দিতে হয়েছে।
তারা বলেন, বিভাগ উঠিয়ে দিয়ে এমন এমন বিষয় ঢুকানো হয়েছে যার মাধ্যমে মূল ধারার শিক্ষাকে কারিগরি ধারার শিক্ষা বানিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজ্ঞানের আগে কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি বেশি গুরুত্ব পায়? বিজ্ঞান হলো প্রযুক্তি জ্বালানি। এটাই হলো তোষামোদির সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর দিক। আশা করি নতুন শিক্ষাক্রম শিগগিরই বাদ দিয়ে আমাদের পুরনো সিলেবাসে ফেরত যাওয়া। শাহজাহান আলী,