পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, শাহজাদপুর পৌর এলাকার থানারঘাট পাড়া মহল্লার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মৃত আব্দুর রশিদ ছেলে সুজন মাহমুদ লেখা পড়ার পাশাপাশি ঢাকার উত্তরায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতো। গত সোমবার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাবার সময় উত্তরায় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
অপরদিকে, শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র এবং শাহজাদপুর সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অন্তর লেখাপড়ার পাশাপাশি টাঙ্গাইলের সখিপুরে এ্যাপেক্স কোম্পানীতে চাকুরী খন্ডকালীন চাকুরী করতো। গত সোমবার সখিপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহন করলে ক্যাম্পের আনছার বাহিনী তাদের বাঁধা দেয় এবং এক পর্যায়ে গুলি ছোঁড়ে।
এ সময় অন্তর একাধিক গুলি বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সুজন ও অন্তরের নামাজে জানাজায় শত শত লোকের ঢল নেমেছে। সুজন মাহমুদের নামাজে জানাজা শাহ্ হাবিবুল্লাহ ইয়েমেনি (রহঃ) এর মাজার শরীফে এবং অন্তরের নামাজে জানাজা কৈজুরীতে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে গরীব ও অসহায় পরিবার দুটিতে হা হা কার ফুটে উঠেছে।
জানা যায় অংশ গ্রহন করেন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ, বিএনপি নেতা মজিবর রহমান মিন্টু, মনির আহমেদ, আব্দুর রউফসহ বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।