সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে তাড়াশের ইতিহাস-ঐতিহ্য
সনাতন দাশ
সিরাজগঞ্জ জেলার সর্ব পশ্চিমের উপজেলার নাম তাড়াশ। সুপ্রাচীনকাল থেকেই তাড়াশের পরিচিতি ‘পুরাকীর্তির শহর’-হিসেবে। এ উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল চলনবিল অধ্যূষিত, উত্তর-পূর্বাঞ্চল খিয়ার অর্থাৎ বরেন্দ্রভূমির অন্তর্গত। তাড়াশের সীমান্ত ঘেষে বয়ে চলেছে পৌরাণিক নদী আত্রাই,করতোয়া ও ভদ্রাবতী। এসব নদী তটেই গড়ে উঠেছিলো স্মরণাতীতকালের বর্ধিষ্ণু জনপদ তাড়াশ। নদী কেন্দ্রীক ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য শহর বন্দর গড়ে তোলার পাশাপাশি পাল,সেন,মুঘল, পাঠান, সুলতানী এমকি ব্রিটিশ শাসনামলে অসংখ্য প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন গড়ে উঠেছিলো। এরমধ্যে অযতœ অবহেলায় অনেক প্রতœ সম্পদ হারিয়ে গেছে। মহাকালের সাক্ষী হয়ে ভগ্নদশা নিয়ে প্রায় ২০টির অধিক পুরাকীর্তি এখনো কোনোমতে টিকে রয়েছে। যা বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের অমূল্য অনুষঙ্গ। এসব প্রতœনিদর্শনের তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে বাংলা তথা উপমহাদেশের ইতিহাসের পাতায়।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, নাগরিক অসচেতনতার পাশাপাশি জবর দখলে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে এসব প্রতœসম্পদ। স্থানীয় বাসিন্দা সহ ইতিহাস গবেষকদের দাবি সরকার জরুরিভাবে এসব পূরাকীর্তি রক্ষায় এগিয়ে না আসলে একদিন তা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে। উত্তর প্রজন্ম জানতেই পারবেনা- একদিন তারাই ছিলো ইতিহাস-ঐতিহ্যের গর্বিত অংশিদার।
ইতিহাসের পাতায় তাড়াশের পূরাকীর্তি:
তাড়াশের নাম দালিলিকভাবে প্রথম পাওয়া যায় রাজা লক্ষণ সেনের ‘ মাধাই নগর তা¤্র শাসন’-এ। এ উপজেলার মাধাইনগর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় বলে এর নামকরণ হয় ‘মাধাইনগর তা¤্রশাসন’। এ তা¤্র শাসনে উল্লেখ রয়েছে- রাজা লক্ষণ সেন পৌন্ড্রবর্ধন ভূক্তির আন্ত:পাতি বরেন্দ্র মন্ডলের কিছু ভূমি কৌশিক গোত্রীয় গোবিন্দ দেব শর্মাকে প্রদান করেছিলেন।তা¤্রশাসনটিতে উল্লেখ রয়েছে, যার ভাবানুবাদ- ‘অতএব চন্দ্রকোণ বিরাট নগর যাহার উত্তর সীমা, যে ভূভাগের পশ্চিমে সপ্তক্ষীরা,যাষুক, চন্দ্রকোণ ও বিরাটনগরই যাহার পূর্বসীমা,তারাস, অ¤্রসর যে ভূমির দক্ষিণ সীমা’।
রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘ বাঙ্গালার ইতিহাস’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এ ছাড়াও প্রখ্যাত প্রত্মতত্ত্ববিদ আবুল কামাল মোহাম্মদ যাকারিয়া ‘বাংলাদেশের প্রত্মসম্পদ’, রাধারমণ সাহার ‘পাবনা জেলার ইতিহাস’,‘ অধ্যক্ষ এম,এ, হামিদের ‘চলনবিলেন ইতিকথা, ইম্পেরিয়াল গেজেট অব ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম ভলিউম’, ‘মাহবুব কুদ্দুস সিদ্দিকী ও ড. শেখ মেহেদী মোহাম্মদ সম্পাদিত ‘করতোয়া নদী তীরবর্তী জনজীবন-অতীত ও বর্তমান’ ইত্যাদি আকরগ্রন্থে তাড়াশের প্রত্মসম্পদ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
বর্তমান প্রত্ন নিদর্শন :
শত অভিঘাত পেরিয়ে এখনো যে সকল পূরাকীর্তি টিকে আছে তার মধ্যে ‘ ভীমের জাঙ্গাল (মাটি দিয়ে নির্মিত প্রাচীর)’ অন্যতম। পাল রাজা রামপালের রাজত্বকালে কৈবর্তনায়ক ভীম চলনবিলের উত্তর সীমান্তে সিরাজগঞ্জের সীমনা হতে বগুড়া জেলার শেরপুর পর্যন্ত একটি মৃত্তিকা প্রাকার নির্মাণ করেন। যা ভীমের জাঙাল নামে অভিহিত।
এ উপজেলায় নওগাঁহাট এলাকায় অবস্থিত সুলতানী আমলের সুলতান নসরৎ শাহের নির্মিত ‘শাহী মসজিদ’। এ মসজিদের শিলালিপি থেকে জানা যায়-‘১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল এই মসজিদটি সুলতান হুশেনশাহের পুত্র সুলতানজাদা সুলতান নাসিরুদ-দুনিয়া ওয়াদ্দীন আবুল মোজাফ্ফর নুসরৎ শাহ সুলতানের রাজত্বকালে নির্মিত। আল্লাহ্ তাঁর রাজত্ব স্থায়ী করুন এবং তাঁর ক্ষমতা,প্রতিপত্তি ও সম্মান বর্ধিত করুন।’ আরবি ক্যালিওগ্রাফিতে লিখিত উল্লেখিত শিলালিপিটি রাজশাহী বরেন্দ্র রিচার্স জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এই মসজিদ প্রাঙ্গনে হযরত শাহ্ শরীফ জিন্দানী (র:) এর সমাধি বিদ্যমান রয়েছে। প্রতি বছর চৈত্রমাসের প্রথম শুক্রবার থেকে তিনদিন ব্যাপি ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। লাখ লাখ ভক্ত আসেকানগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে মাজার প্রাঙ্গনে মিলিত হোন।
শাহী মসজিদের কিছুটা দুরেই রয়েছে আরেকটি ভগ্নপ্রতœস্থল। এখানে শতাধিক পাথরের স্তম্ভ ও এর গায়ে খোদিত হিন্দু দেবদেবীর চিত্র বিদ্যমান। অথচ এ পুরাকীর্তির প্রাচীর বাংলা ইটের চুন সুড়কি দ্বারা নির্মিত। এবং মসজিদের মিহরাবও বিদ্যমান। এ প্রতœস্থলে হিন্দু মুসলমান উভয় ধর্মের মানুষই ভক্তিশ্রদ্ধা করে থাকেন। লোক বিশ্বাসে মঙ্গল কামনায় দুধ কলা ও সিঁদুর দিয়ে তারা মানত করে থাকেন। এখানে কোনো শিলালিপি না থাকায় এর সময় কাল নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এটা মন্দির না মসজিদ তার উৎস খনন না করলে সঠিক তথ্য পাওয়া অসম্ভব।
করতোয়া নদীতটে নওগাঁ বা নবগ্রাম একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। মুঘল আমলে নওগাঁয় সদর আমিন কোর্ট ছিল এবং এখানে একজন শাসনকর্তা ও কাজী থাকতেন। মুসলিম রাজত্বের শেষদিকে নওগাঁয়ে তহসিল বা থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিছুকাল পর থানা উঠিয়ে পুলিশ আউট পোস্ট বা ফাঁড়ি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ সমসাময়িক সময়ে বারুহাস গ্রামে একটি ইমামবাড়া, একজন বুজর্গের মাজার ও দোচালা বাঙ্গালার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
বিনসাড়া গ্রামে রয়েছে পৌরাণিক নায়িকা বেহুলার কথিত স্মৃতিচিহ্ণ। এখানে ইতস্ত বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রাচীন ইটের নির্মিত সুবৃহৎ প্রাসাদের ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া দেয়াল। তবে বেহুলার চার অন্তমুখ বিশিষ্ট বৃহৎ কূপটি এখনো অক্ষত রয়েছে। এ কূপ দেখতে দেশ বিদেশের পর্যটকরা প্রতি বছর ভিড় জমান। বিনসাড়া গ্রামের পাশেই রয়েছে বস্তল ‘চাঁদেরবাজার’। এটিও কিংবদন্তির বেহুলা-লখিনদরের কথিত স্মৃতি বিজড়িত স্থান হিসেবেই লোক বিশ্বাস রয়েছে। এখানে প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে সুপ্রাচীন একটি বটবৃক্ষ রয়েছে। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা এ বটগাছকে দেবতা জ্ঞানে পূজা করে থাকেন। এখানে গত শতাব্দির নব্বই দশকেও বেশ কিছু পাথরের মূর্তি বিদ্যমান ছিল। কিন্তু মূর্তি পাচারকারীরা অরক্ষিত এসব মূর্তি পাচার করে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে।
তালম গ্রামে অবস্থিত শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর দেব ঠাকুর অর্থাৎ লোক প্রবাদের সেই বিখ্যাত শিবমন্দির অবস্থিত। এ মন্দিরটি মূলত নাটোরের দীঘাপতিয়ার রাজপরিবার কর্তৃক নির্মিত একটি মন্দির। সিএস রেকর্ডে এ বিগ্রহের নামে প্রায় হাজার বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। পাকিস্তান শাসনামলে বিগ্রহের সকল সম্পতি খাস করে নেয়। আরএস রেকর্ডেও মন্দির প্রাঙ্গণকে উজার ভিটা দেখিয়ে সকল সম্পত্তি বেহাত করা হয়েছে। এখানে এখনো একটি শিবমন্দির ও শিবলিঙ্গের বিগ্রহ বিদ্যমান রয়েছে। এ মন্দিরের সর্বশেষ সেবায়েত ছিলেন নাটোরের রাজা জগদিন্দ্র নাথ রায় চৌধুরী। যিনি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের বিশেষ ঘনিষ্ট ছিলেন।
অর্ধেক বঙ্গেশ্বরী খ্যাত নাটোরের রানী ভবানীর আরেকটি পূরাকীর্তি রয়েছে চককলামূলা গ্রাম সংলগ্ন ভদ্রাবতী নদীর উপর নির্মিত সেতু। ব্রিটিশ শাসনামলে রানী ভবানী সে সময়কার রাজশাহী জেলার (বর্তমান নাটোর) সিংড়া থানার ও পাবনা জেলার ( বর্তমান সিরাজগঞ্জ) তাড়াশ থানার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা খরস্্েরাতা ভদ্রাবতী নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করেন। যা নাটোর থেকে সিরাজগঞ্জ ভায়া বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর মহাপীঠ মা ভবানীর মন্দিরের সংযোগ ঘাটিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করেছিলো। ব্রিজটি বটপাকুড় গাছের ফাটল বুকে ধারণ করে আজো অতীত কীর্তি ঘোষণা করে চলেছে।
তাড়াশ পৌরসদরে রয়েছে পাঁচটি পুরাকীর্তি। এসব প্রতœনিদর্শন গড়ে তুলেছিলে চৌধুরাই তাড়াশ পরগণার জমিদারগণ। এসব জমিদারদের আদিপুরুষ বাসুদেব তালুকদার ওরফে নারায়ণ দেব প্রাচীন কপিলেশ্বর শিব মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরটি অতি প্রাচীন ও বিচিত্র কারুকার্য খচিত। এ মন্দিরে ফুল লতাপাতার মোটিফ ও পোড়ামাটির টেরাকোটায় বিশিষ্টতা পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে। এ মন্দিরের শিলালিপি থেকে জানা যায়-১৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দে কৃতিবান নারায়ণ দেব মাতার স্বর্গারোহণ সৌকার্যার্থে পৃথিবীতে সোপানস¦রুপ অদৃষ্ট ও অশ্রুতপূর্ব এই মন্দির শম্ভূকে দান করিয়াছিলেন। এই মন্দিরের পাশে আরেকটি শিব মন্দির রয়েছে।
আরেকটি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৭১৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রবীন বলরাম রায় ভক্তিসহকারে ইস্টকাদি দ্বারা এই শিবমন্দির একবার জীর্ণ সংষ্কার করিয়া দেন। এ মন্দিরের অসংখ্য পোড়ামাটির ফলক তুলে নিয়ে গেছে। আরএস রেকর্ডে মন্দিরের ১৭ শতক জায়গা থাকলেও অধিকাংশ এখনো বেহাত হয়ে গেছে। এর চারপাশে অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করায় মন্দিরের জীর্ণ দশায় দর্শনার্থী হতাশা প্রকাশ করেন।
তাড়াশ কলেজ গেট সংলগ্ন রয়েছে রসিক রায়ের ত্রি দোল মঞ্চ। জমিদারী আমলে দোল পূর্ণিমায় হোলি উৎসবে মেতে উঠতেন ভক্ত অনুরাগীগণ। পাকিস্তান শাসনামলে এ মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করে ডিডিটি পাউডারের (এক প্রকার বিষ) গুদামে পরিণত করেন। বর্তমানে এ মন্দিরটিও দখল করে দোকান পাট নির্মাণ করেছে ভূমিদস্যূরা। মন্দিরটি আশু সংষ্কার না করা গেলে অচিরেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে বলে ধারনা এলাকাবাসীর।
তাড়াশ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় গেটে কিছুটা ভগ্নদশা নিয়ে কোনোমতে ঠিকে আছে নকুলেশ্বর শিব মন্দির। এ মন্দিরের নির্মাণ কাল সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে এ মন্দিরেও পোড়ামাটির ফলক বিদ্যমান রয়েছে।
তাড়াশ রায়বাহাদুর উপাধিধারী জমিদারগণ নির্মাণ করেন তাড়াশ রাজবাড়ি ও গোপাল জিউ মন্দির। এ মন্দিরের সেবায়েত গৌড় চক্রবর্তী জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে এক একর জায়গা মন্দির সংষ্কারের কথা বলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিকট বিক্রি করে দিয়ে ভারতে চলে যায়। এ নিয়ে একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
তাড়াশ সদরের সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন মন্দির শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউ মন্দির। এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাট মন্দির। মন্দিরটি স্থানীয় সনাতন সংস্থা কর্র্তৃক পরিচালিত হয়। মূল মন্দিরটি ত্রি-তল বিশিষ্ট। এর সংলগ্ন রয়েছে আটচালা । বাংলা ১৩০৬ সনে জমিদার বনোওয়ারী লাল রায় বাহাহাদুর মন্দিরটি নির্মাণ করান। এ মন্দিরে ঝুলন উৎসবকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মানুষের হতো মিলন মেলা। অতীত তাড়াশ পরিণত হতো উৎসবের নগরীতে।
স্থানীয়দের দাবি:
তাড়াশ পূজা উদযাপন পরিষদেও সাবেক নেতা তপন গোস্বামী,তাড়াশ সনাতন সংস্থার সভাপতি সঞ্জিত কর্মকার বলেন, সরকারিভাবে এসব প্রতœসম্পদ রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া উচিত। এ বিষয়ে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর জড়িপ করে তাড়াশে ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষা করা দরকার। তা না হলে হারিয়ে যাবে বাংলার ।ইতিহাসের অমূল্য উপাদান। নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা সার্জেন্ট সাবেদ আলী বলেন, তাড়াশ মূলত: হিন্দু মুসলমানের সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। বেহাত হওয়া এসব প্রতœ সম্পদ রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, তিনি অচিরেই প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে এসব পূরাকীর্তি রক্ষায় উদ্যোগ নেবেন।
গবেষকদের মতামত:
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের এ অঞ্চলে দায়িত্বে থাকা শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাচারিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আবু সাঈদ ঈমাম তানভীরুল বলেন, তাড়াশে বিভিন্ন প্রতœতত্ত্ব সাইট আমরা পরিদর্শন করেছি। এবং এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, পুরাকীর্তি আইন ১৯৬৮(১৯৭৬ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, মানব সভ্যতার যেকোনো প্রাচীন( ন্যূনতম ১০০ বছরের পুরোনো) পণ্য, স্থাপত্য এবং যুদ্ধ, রাজনীতি ও সংস্কৃতির বিবরণকে পুরাকীর্তি বলা যেতে পারে। এসব প্রতœসম্পদের ক্ষতি সাধন আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো: রিফাত-উর-রহমান বলেন, বঙ্গীয় উপত্যকায় ঠিক কবে মানববসতি শুরু হয়েছে এটা জানা সম্ভব না হলেও আমাদের উয়ারী-বটেশ্বর কিংবা মহাস্থানগড়ের মতো প্রতœস্থানগুলো থেকে আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি এই অঞ্চলে গ্রাম সংস্কৃতির পাশাপাশি সমৃদ্ধ নগর সংস্কৃতির বিকাশ প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে ঘটেছে। তবে, এখনও এদেশের অনেক প্রতœস্থল জরিপ করা হয়নি, বিশেষ করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পরিত্যক্ত ঐতিহ্যগুলোকে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্য নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ গত ছয় বছর যাবৎ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের প্রতœস্থলগুলো জরিপ করা শুরু করেছে। পাশাপাশি ২০১৯ সালে তাড়াশের বিনসাড়ায় একটি অনুসন্ধান পরিচালনা করে। সেই অনুসন্ধানে আমরা ধারণা করছি, অতীতের পুন্ড্রনগরের সাথে রায়গঞ্জের ক্ষিরতলা এবং তাড়াশের বিনসাড়ার সংযোগ থাকতে পারে। যদিও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করে খননে প্রাপ্ত প্রতœবস্তুর ল্যাব টেস্ট ছাড়া সময়কাল নির্ণয় করা অসম্ভব। তবে, ভূপৃষ্ঠ জরিপ থেকে প্রাপ্ত মৃৎপাত্রের টুকরা, ইটের ভগ্নাংশ এবং ল্যান্ডস্কেপ থেকে আমরা ধারণা করছি বিনসাড়াতে অতীত সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।
লেখকঃ তাড়াশের প্রখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। সাবেক সভাপতি, তাড়াশ প্রেস ক্লাব। প্রতিনিধি মাই টিভি ও কালের কণ্ঠ।
তাড়াশে জমির নিবন্ধন কমে আসায় রাজস্ব কমে গেছে
সাব্বির আহম্মেদ, তাড়াশ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাঝিড়া গ্রামের একজন মধ্যবিত্ত কৃষক মো.আশিকুল ইসলাম। তিনি প্রতি বছর ফসলের আবাদ করে সংসার খরচ বাদে উদ্ধৃত্ত আয়ে কিছু কিছু জমি কিনে থাকেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে তাঁর জমি কেনার সক্ষমতা কমেছে। কেননা ফসলের ধারাবাহিক ভাবে দাম না পাওয়ায় এবং দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে সংসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় ফসল বিক্রি করে খরচ বাদে তেমন সঞ্চয় করতে পারছে না এ কৃষক। তাই নতুন করে জমি কেনাও আর হয়ে উঠছে না। এ অবস্থা শুধু তাঁরই নয় প্রায় সকল ধর্নাঢ্য, মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্ত কৃষকদের একই অবস্থা। এ দিকে ফসলের দাম কম পাওয়া এবং নামজারি ছাড়া কবলা, হেবা, দানপত্র, জমি নিবন্ধন বন্ধ হওয়ায় সাম্প্রতিক বছর গুলোতে তাড়াশ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় জমির নিবন্ধনের বার্ষিক হার ক্রমেই কমে আসছে। এতে করে সরকারী রাজস্বও কমছে। পাশাপাশি জমি নিবন্ধন থেকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভা যে রাজস্ব পান তা কমে আসায় এ সকল বিভাগে জমি নিবন্ধনের রাজস্ব আয়ের টাকায় করা উন্নয়ন মূলক কাজেও প্রভাব পরেছে।
এ ছাড়া জমি নিবন্ধন কমে আসায় উপজেলায় কমরর্ত ১৯ জন নকল নবিশদের আয়ও কমছে। কেননা তাঁরা প্রতি দলিলে প্রতি পৃষ্ঠা লেখনীয় কারণে ২৪ টাকা হারে পারিশ্রমিক পেলেও জমি নিবন্ধন কমে আসায় তাঁদের আয়ও কমছে। পাশাপাশি গত তিন মাসে বালাম বই না থাকায় তাড়াশ উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসে নকল নবিশরা কার্যতঃ বেকার হয়ে বসে আছেন।
তাড়াশ উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে (১ জানুয়ারি-৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় জমির নিবন্ধন হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৭টি, ২০২১ সালে হয়েছে ৫ হাজার ২৪৫টি, ২০২২ সালে হয়েছে ৫ হাজার ১৪৮টি আর ২০২৩ সালের এ পর্যন্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৯৯টি। জমি নিবন্ধনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২০ সালে চেয়ে ২০২১ সালে ২৪২টি দলিল কম হয়েছে। ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ সালে কম হয়েছে ৯৭টি আর ২০২২ সালে চেয়ে ২০২৩ সালে ৯৪৯টি কম হয়েছে। এতে প্রতি বছরই জমি নিবন্ধন হার কমছে এবং সেই সাথে এ খাত থেকে আসা সরকারি রাজস্বও ক্রমান্বয়ে কমছে।
অবশ্য, তাড়াশ পৌর এলাকার কহিত মহল্লার বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, কৃষকদের জমি কেনার মতো আর্থিক সক্ষমতা কমেছে। কেননা কৃষকেরা ফসলের দাম কম পাচ্ছেন। পাশাপাশি ভূমির নামজারি করতে স্বচ্ছতা আসলেও দীর্ঘ সূতিত্রাও আছে। এ কারণে নামজারি ছাড়া জমি নিবন্ধন হচ্ছে না।
অপর দিকে জমি নিবন্ধনের সরকারি রাজস্ব আয় থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যে জেলা পরিষদ পান ১%, উপজেলা পরিষদ পান ১%, ইউনিয়ন পরিষদ পান ১% এবং পৌরসভা পান ১%। যে টাকায় ওই সকল বিভাগ স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমে ব্যয় করে থাকেন। কিন্তু জমি নিবন্ধনের হার কমে আসায় স্থানীয় সরকার বিভাগ গুলো আয়ের মোট পাওয়া টাকার অঙ্ক কম পাচ্ছেন। তাই এ টাকায় করা উন্নয়নও কমে আসছে বলে জানান, তাড়াশ মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনুজীব বিজ্ঞানী মেহেদী হাসান ম্যাগনেট। তিনি আরো জানান, আমার পূর্ববতী চেয়ারম্যান গণ জমি নিবন্ধনের রাজস্ব থেকে যে ১% পেতেন তা দিয়ে দু চারটি হাট-বাজারের উন্নয়ন মূলক প্রকল্পে কাজ করতে পারতেন। কিন্তু গত বছর আমার ইউনিয়ন পরিষদ জমি নিবন্ধনের রাজস্ব থেকে যে টাকা পেয়েছে যা যত সামন্য বলা যায়।
তাড়াশ উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসের স্থায়ী মহরা মো. সাইদুর রহমান জানান, জমি নিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার নাগরিকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ২% ভ্যাট আর পৌর এলাকার নাগরিকদের কাছে থেকে নেওয়া হয় ৪% ভ্যাট। যা থেকে পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার বিভাগ গুলো অংশ মোতাবেক রাজস্বের টাকা পান। যা গড়ে গত তিন বছরেই তুলনামূলক হারে কমছেই। আর সমস্যা শুধু এখানেই না। উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসে ১৯ জন নকল নবিশ কাজ করেন। আর জমি নিবন্ধন কমে আসার সাথে সাথে তাঁদের আয়ও কমতেই আছে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা সাব-রেজিষ্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হয়তো লোকজন জমি জমা কম বিক্রি করছেন। এ জন্য জমি নিবন্ধনও কমছে। আর বালাম বই সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বালাম বইয়ের চাহিদা সংশ্লিট বিভাগে জানানো হয়েছে। নির্বাচন পর পরই পেয়ে যাবো।
তাড়াশে চলনবিল বার্তা’র ৭ম বর্ষপূর্তি পালিত
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় একমাত্র পত্রিকা সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার ৭ম বর্ষপূর্তি ও অষ্টম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে নানা বর্ণাঢ্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৯ জুলাই সোমবার সকল ১০ টায় তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী হতে ব্যানার শোভিত এক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালী শেষে একই লাইব্রেরী হলরুমে সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে প্রথমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ডা. আমজাদ হোসেন মিলন কর্তৃক পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর বিদায়ী বছরে চলনবিল বার্তার প্রয়াত তিনজন লেখক, সাংবাদিক স্মরণে এক মিনিট শোক জ্ঞাপন সূচক নীরবতা পালন করা হয়। এরা হলেন পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি এম রহমত উল্লাহ, বিশিষ্ট লেখক কলামিস্ট সৈয়দ শুকুর মাহমুদ ও ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি আকছেদ আলী।
তারপর স্বাগত বক্তব্য দেন চলনবিল বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক আবদুর রাজ্জাক রাজু। এরপর উপস্থিত সাংবাদিক প্রতিনিধিদের পক্ষ হতে বক্তৃতা করেন চলনবিল বার্তার স্টাফ রিপোর্টার সাব্বির আহম্মেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যথাক্রমে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ম.ম জর্জিয়াস মিলন রুবেল, দৈনিক সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, তাড়াশ থানা ওসি (তদন্ত) নূরে আলম, পৌর কাউন্সিলর শামীম সরকার বিএ, গুরুদাসপুর প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। আলোচনা শেষে চলনবিল বার্তার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধির হাতে প্রেস কার্ড, সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।বিশেষ উল্লেখ্য, এ বছর সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য পত্রিকার ১৬ জন সাংবাদিককে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। সবশেষে প্রথমে ফিরোজা বিউটির সম্পাদনায় তাড়াশের সম্মানিত লেখকদের যৌথ কাব্যগ্রন্থ “চলনবিলের কবিতাঞ্জলি”, লেখিকার একক কাব্যগ্রন্থ “পালক” ও সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রাজুর প্রকাশিত কাব্য “সময়ের প্রতিধ্বনি”র মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিগণ। এ সময় বই ও পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা সকলের মাঝে বিতরণ করা হয়। মোড়ক উন্মোচন জন্মদিনের কেক কাটা হয়, অংশ নেন অতিথিগণ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চলনবিল বার্তার বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা ।
বক্সে দিবে
হৃদয়ে হায় হোসেন !
এ্যাডঃ মোঃ আব্দুল ওহাব (বীরমুক্তিযোদ্ধা)
বছর ঘুরে ফিরে এলো মহররম
কারবালা প্রান্তরের শহীদ স্মৃতি নিয়ে
কোটি হৃদয়ে শোকমাতম
হায় হোসেন! হায় হোসেন!
হৃদয়ে হায় হোসেন
ফোরাত নদীর তীওে এখনো শুনি
ওহে এজিদ; ওহে সিমার; শুনতে পাচ্ছ ?
কান পেতে শোন! আকাশে বাতাসে ধ্বনী
হায় হোসেন! হায় হোসেন!
হৃদয়ে হায় হোসেন
দূরাচার এজিদ ও ওবায়দুল্লার চক্রান্ত ফলেনি
সত্যই সলামের জন্য মাথা নত করেনি
নবীর দৌহিত্র ইমাম হোসেন।
হৃদয়ে হায় হোসেন
সত্য ইসলাম বারবার জিন্দা হবে
ফিওে এলে মহররম প্রতি বছরে।
বিশ্ববাসী কাঁদবে স্মরণে-বরণে
ঘরে ঘরে, নদীকুলে, পাহাড়ে-প্রান্তরে
আকাশে বাতাসে উচ্চারিত হবে
হায় হোসেন! হায় হোসেন!
কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা জরুরী
বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ মোকাবেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে বেশকিছু কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদান শুরু হয়েছে। তবে, উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একইসাথে নিরবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। গত (১৮ই জুলাই) বরিশাল মহানগরীর বিডিএস কনফারেন্স হলে “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়” শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় কর্মশালাটির আয়োজন করে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)। কর্মশালায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি উচ্চ রক্তচাপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশের জন্য অসংক্রামক রোগ দায়ী হলেও এসব রোগ মোকাবেলায় অর্থ বরাদ্দের পরিমান খুবই সামান্য, মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ।
কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। আলোচক হিসেবে অংশ নেন বরিশালের বিশিষ্ট সাংবাদিক অরূপ তালুকদার এবং আত্মা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি স্বপন খন্দকার।উচ্চ রক্তচাপ এর মতো ভয়াবহ অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় সকল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধের প্রাপ্র্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এখাতে টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করা গেলে অসংখ্য জীবন বাঁচানোসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
সহিংসতায় জড়িতদের খুঁজে বের করুন : প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ সাম্প্রতিক সহিংসতায় জড়িতদের দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকারকে সহযোগিতা করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব, যারা এই ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করুন।’শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনকালে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে বিটিভি ভবনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা সারাদেশ থেকে জড়ো হয়ে রাজধানীতে এসব হামলা চালিয়েছে। সূত্রঃ নয়াদিগন্ত।
ঢালাওভাবে মামলা-গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি সুজনের
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছে সংস্থাটি। গত শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানায় সুজন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারের লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের ধরে সৃষ্ট অচলাবস্থা এখনও নিরসন হয়নি। সহিংতায় মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা দু’শ ছাড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া, স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ফলে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। এতে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এত প্রাণহানি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। প্রত্যেকটি প্রাণই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কিছুর বিনিময়ে তা পূরণ হবার নয়। আমরা নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে প্রত্যেকটি হত্যার নির্মোহ তদন্ত করা এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সূত্রঃ মানবজমিন।
তাড়াশ সরকারী খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহে সাড়া মিলছে না
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ায় প্রায় দুই মাসে খাদ্য শস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১১২ মেট্রিক টন। পাশাপাশি একই সময়ে চাল সংগ্রহ হয়েছে ১৬৮ মেট্রিক টন।আর গড়ে দুই মাসে ধানসংগ্রহ হয়েছে লক্ষ মাত্রার বিপরীতে মাত্র ১০ শতাংশ।
এদিকে ধান-চাল সংগ্রহে তেমন সাড়া না পাওয়ায় তাড়াশ উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামের পক্ষ থেকে কৃষকদেও সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে উপজেলার আটটি ইউনিয়নও একটি পৌর এলাকা জুড়ে মাঝে মাঝে মাইকিং করা হলে তাতেও তেমন সাড়া মিলছে না।
এদিকে গত ৭ মে সমগ্র দেশের সাথে তাড়াশ উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদামে প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়।সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ার পর গত দুই মাসে উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১১২ মেট্রিক টন। আর এ বছর ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে এক হাজার ৪১১ মেট্রিক টন। আর ধানের সরকারী ক্রয় দরপ্রতি কেজি ৩২ টাকা। বা প্রতিমণ এক হাজার ২৮০ টাকা। আর একই সময়ে চাল সংগ্রহ হয়েছে ১৬৮ মেট্রিক টন। এ বছর চাল সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা হচ্ছে ২৪৯ মেট্রিক টন।২০২২- ২০২৩ অর্থ বছওে আমণ ধানের মৌসুমে সংগ্রহের লক্ষ মাত্রা ছিল ৭৩২ মেট্রিক টনএবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছওে আমণ ধানের সংগ্রহ লক্ষমাত্রা ছিল ৫০২ মেট্রিক টন। কিন্তু আমন মৌসুমে লক্ষ মাত্রার বিপিরীতে দুটি অর্থ বছরে এক কেজিও আমন ধান সংগ্রহক রা সম্ভব হয়নি।এদিকে সরকারি খাদ্য গুদামে কৃষকদেও ধান বিক্রি করতে হলে সরকারি নিয়মে কৃষককের ধানের আদ্রতা ১৪ শতাংশ, বিজাতীয় পদার্থ ০.৫ শতাংশ. ভিন্ন জাতের ধানের মিশ্রণ ৮ শতাংশ, অপৃষ্ট ও বিনষ্ট দানা ২ শতাংশ, চিটা ০.৫ শতাংশ থাকতে হবে। এ সকল শর্ত মেনে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি কৃষকের কাছে ঝামেলা বলে মনে হয় বলে মন্তব্য করেন তাড়াশের কাঁস্তা গ্রামের কৃষক আলামিন হোসেন। আর তাড়াশ পৌর এলাকার কৃষক তোতামিয়া বলেন, হাট- বাজারে যখন সরকারি দরের চেয়ে আরো বেশি দামে ধান বিক্রি করা যায় তখন সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে যাব কেন।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ইকবাল হোসেন বলেন,ধান- চাল সংগ্রহ লক্ষ মাত্রা পূরণে আমরা উদ্দ্যোগী হয়ে কাজ করছি। সেই সাথে কৃষকদেও সব্বোর্চ ঝামেলা মুক্ত রেখে ধান সংগ্রহের জন্য আমরা ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত কাজ করে যাবো।
কোটেশন
তারা কি দেখেনি যে, তাদের পূর্বে কত মানব গোষ্ঠিকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদের আমি দুনিয়ায় এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যেমন তোমাদেরকেও করিনি। আর আমি তাদের উপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম এবং প্রবাহিত করেছিলাম তাদের নি¯œদেশে নহরসমূহ। তারপর তাদের পাপের দরুন আমি তাদের ধ্বংস করে দিয়েছি এবং তাদের পরে অন্য মানবগোষ্ঠি সৃষ্টি করেছি। সূরা আন’আম,রুকু-১, আয়াত-৬
তাড়াশে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে শিক্ষককে চাকরিচ্যূত করার অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রঘুনিলী মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ুব আলীকে চাকরিচ্যূত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আরবিট্রিশন কমিটির সভার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের রায় উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক। পরে তিনি জাল ইস্তফাপত্রের প্রতিকার ও যোগসাজশী চাকরিচ্যুত করায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা করেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের ১ তারিখে মো. আইয়ুব আলী গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন রঘুনিলী মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। যথারীতি তিনি ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বেতন ভাতা প্রাপ্ত হন। ইনডেক্স নং ১১১৪৬৭৭।
শিক্ষক মো. আয়ুব আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. রবিউজ্জামানের নিয়োগ বানিজ্য, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে আত্মীয়করণ ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করেন সহকারী শিক্ষকরা। এ নিয়ে আমরা শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এজন্য স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আমাকে চাকরিচ্যুত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে, আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে চাকরির ইস্তফাপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে জমা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. রবিউজ্জামান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রঘুনিলী মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, গনিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ুব আলীর অভিযোগ সত্য। অযৌক্তিকভাবে তাকে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষক মো. রবিউজ্জামান।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, চাকরিচ্যুত করা, না করা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ব্যাপার। রঘুনিলী মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউজ্জামান বলেন, সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ুব আলীর চাকরির বিষয়টি আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হবে।
রঘুনিলী মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মানষ চন্দ্র রায় (সনাতন দাশ) বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র আসে। প্রধান শিক্ষক কমিটির সভায় উপস্থাপন করলে অনুমোদন দিয়ে থাকি। এখানে যা ঘটুক দায় প্রধান শিক্ষক মো. রবিউজ্জামানের। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা: জিয়াউল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. রবিউজ্জামান রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আরবিট্রিশন কমিটির সভার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন জানা ছিলোনা। সহকারী শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী প্রতিকার চেয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
সাঈদ মোদের অনুপ্রেরণা সাঈদের ছবি
(বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ স্মরণে)
আবদুর রাজ্জাক রাজু
বুক পেতে দেয় আবু সাঈদ গুলি খাওয়ার তরে
নিষ্ঠুর ওই পুলিশটাও সেই কাজটাই করে।
ভীরুও নয় সন্ত্রাসী নয় আন্দোলনের হিরো
যারা তারে গুলি করে তারাই হল জিরো।
সাঈদ থাকবে অনন্তকাল মানুষের মন জুড়ে
শাসকেরা যাবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।
নূর হোসেন আর সাঈদেরাই যুগে যুগে বীর
তারাই দেখায় মুক্তির দিশা বাঙ্গালী জাতির।
কোটা নয়তো মূল আন্দোলন অধিকারটা বলা
সেই লক্ষ্যে সাহস ভরে বুক উঁচিয়ে চলা।
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার এই কি হল ফল
সত্য ন্যায় রুখতে চলে বন্দুকেরই নল।
গুলি খেয়ে শহীদ হয়েই স্বাধীনতা এলো
সেই বর্বর ধারাটাই আজ অগ্রাধিকার পেলো।
তার নামেই হলো “শহীদ আবু সাঈদ গেট”
স্মরণীয় হয়ে থাকবে “আবু সাঈদ দি গ্রেট”।
“আবু সাঈদ দিবস” পালন করলে ভাল হবে
সংগ্রাম আর আন্দোলনের স্মৃতি চিহ্ন রবে।
সাঈদ মোদের অনুপ্রেরণা আদর্শের প্রতীক
যে পুলিশরা মারে তারে তাদের জানাই ধিক !
১৬.০৭.২৪
হত্যাকান্ডের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করুন : রব
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, আন্দোলনে কতজন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, সেই সংখ্যা প্রকাশ করুন। ক্ষমতাসীন সরকার দেশের নাগরিকদের হত্যা করে লাশের সংখ্যা প্রকাশ করার প্রয়োজন বোধ করে না।
এরই মধ্যে নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা না করেই ২১ জনকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। ছাত্র হত্যার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। আ স ম রব বলেন, আন্দোলনের তীব্রতায় ভীত হয়ে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে সরকার নাশকতার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে। বিবৃতিতে তিনি ছয় দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কতজন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রকৃত সংখ্যা, নাম ও ঠিকানা দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। আবু সাঈদসহ নিহতদের স্মরণে ‘জাতীয় শোক’ পালন করতে হবে। প্রতিটি হত্যাকান্ডের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ছাত্রদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা। নির্বিচার গ্রেফতারসহ সব রকমের হয়রানি বন্ধ এবং অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার করুন।সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন।
ভিন্নমত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অপরাধ নয় সাংবিধানিক অধিকার: টিআইবি
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ভিন্নমত ও দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অপরাধ নয়, সাংবিধানিক অধিকার।গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ আহ্বান জানিয়েছে।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সব সমন্বয়কের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে দাবিগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়নেরও আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ভিন্নমত, সমাবেশ, প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার অধিকার দেশের জনগণকে সংবিধান দেয়।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অবিলম্বে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবি সরকার কর্তৃক মেনে নেওয়া সাপেক্ষে গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সব পক্ষের মধ্যে একটি আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর এ উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সর্বসম্মত রোডম্যাপ প্রণয়ন ও অবিলম্বে তা বাস্তবায়ন করে দেশব্যাপী চলমান অস্থিরতা ও আতঙ্ক দূর করতে হবে। একইসঙ্গে সহিংসতার অভিযোগে যেভাবে ঢালাও মামলা ও গ্রেফতার চলছে, তা কতটা আইনি প্রক্রিয়া মেনে করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এটি যেন কোনোভাবেই নিরীহ মানুষকে হয়রানি ও গ্রেফতার উৎসবে পরিণত না হয়।এমন সংকটে সরকারের একটি আত্মসমালোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভিন্নমত দমনের নীতি থেকে সরে এসে সরকার গণতান্ত্রিক ও সুশাসনমুখী পথ অবলম্বন করবে বলে আশা করে টিআইবি। সূত্র ঃ যুগান্তর।
তাড়াশে দলিল রেজিষ্ট্রেশন বন্ধ থাকায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত প্রায় এক মাস যাবত তাড়াশ উপজেলায় দলিল রেজিষ্ট্রেশন বন্ধ থাকায় উদ্ভূত নানা সমস্যার কারণে জনভোগান্তি বাড়ছে।বন্ধের মূল কারণ এখানে সাবরেজিষ্ট্রারের পদ শূণ্য পড়ে থাকা।
জানা যায়, গত প্রায় মাসখানেক পূর্বে তাড়াশের সাবরেজিষ্ট্রার অন্যত্র বদলী হয়ে যান। ওই কর্মকর্তা মূলত: রায়গঞ্জের দায়িত্ব থেকে সপ্তাহে একদিন মাত্র তাড়াশ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে এসে অতিরিক্ত দায়িত্বের অংশ হিসেবে দলিল রেজিষ্ট্রি করতেন। অর্থাৎ দীর্ঘদিন হল তাড়াশ উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে কোনো স্থায়ী, স্বতন্ত্র ও নিয়মিত সাবরেজিষ্ট্রার না থাকায় ও সপ্তাহে একদিন মাত্র দলিল রেজিষ্ট্রেশন হওয়ায় দাড়াশের জনগণের এমনিতেই অসুবিধা হয়ে আসছিল। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি প্রায় এক মাস ধরে সাবরেজিষ্ট্রার না থাকায় তাড়াশ উপজেলায় দলিল রেজিষ্ট্রেশন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এতে করে বিপুল সংখ্যক দলিল রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দলিল লেখকদের কাছে জমা হচ্ছে এবং দিনদিন এ সংক্রান্ত চাপ বেড়েই চলেছে। এমনও জানা যাচ্ছে যে, দলিল রেজিষ্ট্রেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকার হেতু জমি বিক্রি করতে না পেরে হার্ট, স্ট্রোকের রোগীর অপারেশনসহ গুরুতর রোগীদের উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশ গমন ব্যাহত হচ্ছে, দেখা দিচ্ছে জীবনের সংশয় । এছাড়া আদালতে বিভিন্ন কারণে যাদের জরুরী ও জটিল মামলা রয়েছে, জমি বিক্রি করে টাকা যোগার করতে না পেরে তাদেও মহাবিপদের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। লক্ষ্যনীয় যে, জমি বেচাকেনার দলিল রেজিষ্ট্রেশন মানুষের জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার বহু বিষয়ের সাথে ওতপ্রতো জড়িত। তাই বিষয়টি অতীব জরুরী বিবেচনায় নিয়ে তাড়াশ উপজেলায় একজন পূর্ণকালীন সাবরেজিষ্ট্রার পদায়নের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তাড়াশে যুদ্ধ শিশু মেরিনা খাতুনকে সংবর্ধনা
আরিফুল ইসলাম, তাড়াশ প্রতিনিধি: দেশের প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রাপ্ত যুদ্ধ শিশু মেরিনা খাতুনকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে কালের কন্ঠ শুভ সংঘের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ মাহমুদ, পৌর মেয়র আব্দুল রাজ্জাক, ভাইস চেয়ারম্যান ম ম জর্জিয়াস মিলন রুবেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুন, বিশিষ্ট নারী ত্রেী ও পৌর কাউন্সিলর রোখসানা খাতুন ও সাংবাদিক সনাতন দাশ সহ আরো অনেকে।
তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আটক
তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তরিকুল আকন্দকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ। গত বুধবার দেশিগ্রাম এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার এএসআই আলমগীর হোসেন।
তাড়াশ থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর হবে।
তাড়াশে ল্যাম্পি স্কিন রোগে বহু গরুর মৃত্যু
সাব্বিরআহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গত এক মাসে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪০টি গরু মারা গেছে।তবে মারা যাওয়া গরুর প্রকৃত সংখ্যা আরো অধিক যার বেশির ভাগই বাছুর।
জানা গেছে, গত এক মাসে উপজেলার ওয়াশীন প্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ১টি, শেরাজ মাষ্টারের ২টি, টুটুল সরকারের ১টি,তালম গ্রামের নজরুল ইসলামের ২টি, কুসুম্বী গ্রামের কুশাল সরকারের ২টি সিলেট গ্রামের রাজুর ১টি,জলিরের ১টি, বিনোদপুর গ্রামের রব্বানীর ২টি,হামকুরিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ২টি সহ প্রায় ৪০টি গরু মারা গেছে।
ওয়াশীন গ্রামের গরুর খামারী ইব্রাহীম হোসেন জানান, প্রথমে আমার গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। খাবারের রুচি কমে আসে। এক সময় আক্রান্ত গরুর জ্বর বেশি হয়ে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে। এরপর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত দেখা দেয়। সে ক্ষত কয়েক দিনে ফুলে ও পচে গিয়ে তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। দুই পায়ের মাঝে বুকের নিচে পানি জমে ঝুলে পড়ে। এরপর কয়েক দিনের মাথায় গরুটি মারা য়ায়।তিনি আরও জানান, এ রোগ প্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে।এ দিকে উপজেলার গুল্টা এলাকার খামারী আব্দুল লতিফ, রেজাউল করিমসহ অনেকের অভিযোগ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গেলে গরুসহ অনান্য গবাদিপশুর তেমন চিকিৎসা পাওয়া যায় না। আবার পল্লী প্রাণী চিকিৎসকদেও কাছে গেলে তারাও দু’একটি ইনজেকশন আর অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে ১২ থেকে ১৫ শত টাকা বিল করেন।এদিকে এধরনের রোগাক্রান্ত গরু মালিক বলভা গ্রামের দুঃস্থ বিধাব আজেদা খাতুন বলেন, পশু হাসপাতালে গেলে তারা ডাক্তার নেই বলে জানায় এবং এক টুকরো কাগজে গরুর জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেয় এক সহায়ক স্টাফ ফিরোজ আহমদ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ডা. অলিউল ইসলাম লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হয়ে গরু মারা যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার কওে বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে লাম্পি স্কিনসহ নানা রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুর চিকিৎসায় আমরা আন্তরিক। লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত গরুর মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ভাগ প্রাণীকে প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়েছে।আশা করি দ্রুত এ রোগের প্রাদূর্ভাব কমে আসবে।
তাড়াশে কবি মাহিমের জন্মদিনে সাহিত্য আড্ডা
স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চলনবিল সাহিত্য সংস্কৃতি ফোরামের উদ্যোগে তরুণ কবি তাহমিলুর রহমান মাহিমের ১৭তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে গত ২৫ আগষ্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীতে এক সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করা হয়।
সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার সম্পাদক ও কবি আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে প্রথমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা ও যুগপৎ কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আলোচনা ও কবিতা পাঠ করেন লেখক-কবি ড. খায়রুজ্জামান মুননু, আফরোজা বিউটি,রোখসানা খাতুন,জহুরুল হক, এস এম শিমুল,মাসুদ পাভেজ, জয়নাল আবেদীন জয়, সাকিব আল হাসান, সনজু কাদের ও আবদুর রাজ্জাক রাজু। দশম শ্রেণী পড়–য়া নবীন কবি তাহমিলুর রহমান মাহিম তার বক্তব্যে নিজের অনুভূতি ও ভবিষ্যত চিন্তার কথা তুলে ধরেন। পরে অতিথিগণ কর্তৃক কেক কেটে ও উপমা পরিবেশিত গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এর পূর্বে মাহিমকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা উপহার মাহিমের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন উপমা। বিশেষ উল্লেখ্য, কবির জন্ম বার্ষিকীতে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন স্থানীয়ভাবে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা বলে বক্তাগণ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে এলাকার কবি-সাহিত্যিক ও মাহিমের বন্ধুবান্ধবসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর সভা কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সমাপ্ত
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভা লাইব্রেরী হলরুমে গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইব্রেরী সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুইচিং মং মারমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।তবে কার্যকরী কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই আরো দু’একটি বৈঠকের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে ইউএনও তার ভাষনের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি টানেন।
এ সভার মূল আলোচ্য ছিল লাইব্রেরী কমিটির নির্বাচন এবং স্থবির হয়ে পড়া গ্রন্থাগারটিকে সচল করা। এ প্রসঙ্গে পাঠাগার সদস্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আবদুর রাজ্জাক রাজু, আব্দুস ছালাম, আতিকুল ইসলাম বুলবুল,আব্দুল হান্নান, রজত ঘোষ, মোশাররফ হোসেন, শামিউল হক শামীম, হাদিউল হৃদয়, লুৎফর রহমান,আব্দুর রাজ্জাক খান, হোসনেয়ারা পারভীন লাভলী, মোক্তার হোসেন ও মোজাম্মেল হক মাসুদ। সবশেষে লাইব্রেরীর নতুন কমিটি নির্বাচনসহ এর বিভিন্ন ব্যাপারো আরো দু’একবার সভা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন লাইব্রেরী সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বিশেষ উল্লেখ্য, দুই বছরের অধিক হল এ লাইব্রেরীর কোন নিয়মানুগ কমিটি নাই। সে কারণে এটা নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কবলে বন্ধ পড়ে আছে।
তাড়াশে নারীদের জন্য চক্ষু শিবির
মো. ইসহাক আলী ঃ রেসরকারী সংস্থা পরিবর্তনের উদ্যোগে সিরাজগঞ্জস্থ অধ্যাপক এম এ মতিন বিএনএসবি মেমোরিয়াল চক্ষু হাসপাতালের সহায়তায় নারীদের জন্য বিশেষ চক্ষু শিবির গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার তাড়াশের কোহিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এ শিবিরে কোহিত গ্রামের মোট ১৮১ জন নারী বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা ও সেবা গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ওষুধ নিয়েছেন ৬৮ জন, চশমা পেয়েছেন ১০৩ জন এবং আরো উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলন রোখসানা রুপা। চক্ষু শিবির পরিচালনায় যারা অংশ নেন তারা হলেন প্যারামেডিক্স নজরুল ইসলাম খান, রিফ্রাকশোনিস্ট আল আমিন শেখ, এমএলওপি সাব্বির হায়দার, এমএলওপি আরিফুল বারী, অর্গানাইজার সাদ বিন ইবনে তালহা এবং সহকারি ম্যানেজার টি এম মাহমুদুল হাসান। উল্লেখ্য , পরিবর্তন বিগত ৩ বছর যাবত উক্ত হাসপাতালের সহযোগিতায় তাড়াশ উপজেলায় বেশ কয়েকটি চক্ষু শিবির বাস্তবায়ন করেছে যার মাধ্যমে শত শত প্রবীণ,নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী, আদিবাসীসহ
গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠি উপকৃত হয়েছে।
তাড়াশে চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন যারা
মোশাররফ হোসেন মল্লিকীঃ “প্রোজ্জ্বল কৃষ্টির উজ্জ্বল আকাশে আমরা আলোর সন্দীপন” স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ “কবি কণ্ঠে কবিতা” কর্তৃক আয়োজিত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচিত পাঁচজন কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও সম্পাদককে “চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪” প্রদান করা হয়।
গত শুক্রবার (১২ জুলাই, ২০২৪) সন্ধ্যায় তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ বিশ^বিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি। সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু’র সভাপতিত্বে এবং বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও মঙ্গলবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বিনু’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মল্লিকী।
প্রধান অতিথি আলহাজ¦ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি তাঁর বক্তব্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সাধুবাদ জানিয়ে আগামীতেও এ ধরণের অনুষ্ঠান অব্যাহত রাখার আহবান জানান এবং আগামীতে তিনি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন মর্মে আশ^াস প্রদান করেন। পরবর্তীতে প্রধান অতিথি টাঙ্গাইলের কবি মনিরুন নাহার (কবিতায়); শেরপুরের কবি, গল্পকার এবং অপরাজিত সম্পাদক নাহিদ হাসান রবিন (ছোট গল্পে); চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট লেখক ও উপন্যাসিক আনোয়ার রশীদ সাগর (উপন্যাসে); বগুড়ার কবি, গীতিকার ও প্রাবন্ধিক একে আজাদ (প্রবন্ধে) এবং তাড়াশের কৃতি সন্তান সাংবাদিক, কবি ও হৃদয়ে চলন-এর সম্পাদক হাদিউল হৃদয় (সম্পাদক) কে চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ এর সম্মাননা সনদ ও পদক তুলে দেন। সম্মাননা প্রাপ্ত কবি, লেখক, উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক প্রত্যেকেই তাদের অনুভুতির কথা তুলে ধরে সংক্ষিপ্তাকারে বক্তব্য রাখেন। সবশেষে সভাপতি মহোদয় উপস্থিত সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
তাড়াশে সাবরেজিষ্ট্রারের পদ শূণ্য বিপাকে জমির ক্রেতা-বিক্রেতা
সাব্বির আহম্মেদ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রায় দশ মাস ধরে উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রারের পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার শত শত জমি ক্রেতা বিক্রেতা। সেই সাথে ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার ৫৯ জন দলিল লেখক ও ৬ জন ষ্ট্যাম্প ভেন্ডার। কমেছে জমি নিবন্ধন থেকে পাওয়া সরকারি রাজস্বেও পরিমাণ।
জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বও মাসে তাড়াশ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার ফারহানা আজিজ উল্লাপাড়া উপজেলার সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে বদলি হয়ে যান। এরপর আর কোন নিয়মিত উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার এ উপজেলায় শূণ্য পদে পদায়ন করা হয় নি। জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস থেকে অন্য উপজেলার সাব রেজিষ্টার দিয়ে তাড়াশ উপজেলায় মাসে মাত্র একদিন কওে জমি নিবন্ধনের কাজ করা হচ্ছিল। সেটারও ছন্দপতন ঘটে। গত জুন মাসে জমি নিবন্ধনের কাজ এক দিন হলেও চলতি জুলাই মাসে একদিনও হয়নি।ফলে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার শত শত জমি ক্রেতা বিক্রেতা।আয় রোজগারে টান পড়েছে জমি নিবন্ধের কাজে জড়িত উপজেলার ৫৯ জন দলিল লেখক, ৬ জন ষ্ট্যাম্প ভেন্ডারের।উপজেলার আরংগাইল প্রামের জমি বিক্রেতা মোরশেদ আলী জানান,জমি রেজিষ্ট্রি না হওয়ায় আমি আমার জমি বিক্রি করতে পারছি না। এ দিকে অর্থেও অভাবে আমার মেয়ের বিয়ে আটকে আছে।দলিল লেখক জাকারিয়া হোসেন বলেন, কাজ না থাকায় তাঁদেও অনেকের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।তাই তাঁরা একজন নিয়মিত উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রারের পদায়নের দাবী জানান।এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তাড়াশে একজন নিয়মিত সাব রেজিষ্ট্রার পদায়নের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তা সম্ভব হবে। তখন এ সমস্যা থাববে না।
দেশে প্রথম যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন তাড়াশের মেরিনা খাতুন
তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেশের প্রথম যুদ্ধশিশু হিসেবে মেরিনা খাতুনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির চিঠি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। গত রোববার (১৪ জুলাই) সকালে তাড়াশ উপজেলা পোস্ট মাস্টার মো. আইয়ুব আলীর কাছে থেকে চিঠিটি গ্রহন করেছেন মেরিনা খাতুন। জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৮৯ তম সভায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনা পচি বেওয়ার মেয়ে মেরিনা খাতুনকে যুদ্ধ শিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল। যা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)’র উপপরিচালক (উন্নয়ন) প্রথম রঞ্জন ঘটকের গত ৭ জুলাই স্বাক্ষরিত পত্র প্রদানের মেরিনা খাতুনকে মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
যুদ্ধ শিশু স্বীকৃতির চিঠি পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে যুদ্ধশিশু মেরিনা খাতুন কেঁদে ফেলেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি স্বীকৃতির চিঠি পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আরো কৃতজ্ঞ স্বীকৃতি পেতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও যে সকল সংবাদ কর্মী আমার পাশে ছিলেন তাঁদের প্রতি।
তিনি আরো বলেন, তিন ছেলে ও এক মেয়ে বর্তমানে আমার পারিবারিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ছেলে-মেয়েদের তেমন প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। যার কারণে বর্তমানে অভাব অনাটনে চলে সংসার। আবার কিছুদিন আগে আমার স্বামী ওমর আলী অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় জীবন জীবিকায় অনেকটা টানপড়েন। যুদ্ধ শিশু হিসাবে সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা দাবী জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কামান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আরশেদুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রথম যুদ্ধশিশু হিসেবে মেরিনা খাতুন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষে থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি মেরিনাকে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা দেওয়ারও দাবী জানাই। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাড়াশের মৃত ফাজিল আকন্দের বিধবা স্ত্রী পচি বেওয়াকে স্থানীয় কয়েকজন রাজাকার হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেন। আর সেখানে হানাদার বাহিনীর সেনাদের কাছে পাশবিক নির্যাতন শিকার হন তিনি। এতে করে তিনি সন্তান সম্ভাবা হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে যুদ্ধশিশু মেরিনা খাতুনের জন্ম হয়। পরে ২০২২ সালে ৮ সেপ্টেম্বর বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত পচি বেওয়ার মেয়ে মেরিনা খাতুন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়ে মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন পাঠান। আবেদনে মেরিনা খাতুন উল্লেখ করেন। তাঁর মা পচি বেওয়াকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ভাবে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর ২০৫। এরই প্রেক্ষিতে তিনি যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান।
তাড়াশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিহত
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ফাতেমা খাতুন (৫০) নামের এক প্রাথমিক শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার সকালে তাড়াশ রানীর হাট আঞ্চলিক সড়কের তাড়াশ পৌর এলাকার আসানবাড়ী মহল্লার ব্রীজের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত প্রাথমিক শিক্ষক ফাতেমা খাতুন উপজেলার তালম ইউনিয়নের গুল্টা গ্রামের কলেজ শিক্ষক মোত্তালিব সরকার শিশিরের স্ত্রী ও গুল্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়টি তাড়াশ পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুর রাজ্জাক নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে ওইদিন , সকাল ১০টার দিকে উক্ত শিক্ষক দম্পত্তি শিশির ও ফাতেমা খাতুন মটরসাইকেল যোগে তাড়াশ উপজেলা সদরের বাসা থেকে গুল্টা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আসানবাড়ী মহল্লার ব্রীজের সন্নিকটে পৌঁছিলে একটি শিয়াল মটরসাইকেলের সামনে দিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় মটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাকা সড়কে ছিটকে পড়ে। এতে শিক্ষক দম্পত্তি ফাতেমা খাতুন ও শিশির আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুনকে মূমূর্ষ অবস্থায় দুপুর ১২ টার দিকে বগুড়া শজিমেক হাসপতালে নেওয়ার পথে শেরপুর এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই তিনি মারা যান। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনেছিএবং সন্ধ্যায় ওই শিক্ষকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সিংড়ায় ১ লক্ষ গাছের চারা বিতরণ
সিংড়া প্রতিনিধি ঃ ‘সবুজ শ্যামল সিংড়া, গড়ে তুলবো আমরা’ এই শ্লোগান নিয়ে নাটোরের সিংড়ায় বৃক্ষরোপণ উৎসবের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে বিনামূল্যে ১ লক্ষ গাছের চারা বিতরণ করেছেন সামাজিক সংগঠন আলোকিত সমাজ। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির পৃষ্ঠপোষকতায় গাছের চারা বিতরণের উদ্বোধন করেন পলকপতœী, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আলোকিত সমাজের সভাপতি আরিফা জেসমিন কনিকা।
গত সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা খাদ্য গোডাউন চত্বরে আয়োজিত চলনবিল বৃক্ষরোপণ উৎসব-২০২৪ এ চারা গাছ বিতরণ করা হয়। মাসব্যাপি বিতরণকৃত চারা গাছের মধ্যে রয়েছে জলপাই, আমলকি, তেঁতুল, বহেরা, নিম, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, বাতাবি লেবু, কড়ইসহ বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক আনিছুর রহমান লিখন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলোকিত সমাজের কোষাধ্যক্ষ নাজমুল হক বকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হাসান ইমাম, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সোহেল তালুকদার, সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সোহরাব, চলনবিল জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সিদ্দিকী, কাশফুল উলুম নেছারীয়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি জাকারিয়া মাসউদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লাপাড়ায় নব নির্মিত ব্রীজে চলাচলে সমস্যা
ডাঃ আমজাদ হোসেন ঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধামাইলকান্দি- সলঙ্গা পাকা সড়কে হাল সময়ে নির্মাণ করা একটি ব্রীজের দু’পাশের সড়ক দেবে যাওয়ায় বাহন নিয়ে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে বৃষ্টিতে সড়কের সাইডের কিছু অংশ ধসে গেছে। উল্লাপাড়া উপজেলার ধামাইলকান্দি- সলঙ্গা সড়কের চরবেড়া এলাকায় খালের উপর এলজিইডি থেকে আগের ছোটো ব্রীজটি ভেঙ্গে ঠিকাদারের মাধ্যমে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। হাল সময়ে ব্রীজটি ও দু’পাশের সড়ক নির্মাণ শেষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে ব্রীজটির দু’পাশের সড়ক দু’থেকে আড়াই ইঞ্চি দেবে গেছে। ব্রীজের কাছাকাছি নতুন নির্মাণ করা সড়কের কিছু অংশ ভারী বৃষ্টিপাতে ধসে গেছে। একাধিক ভ্যান চালক ও সাধারণ জনগণ বলেন ব্রীজের সংযোগ সড়ক দেবে যাওয়ায় বাহন নিয়ে চলতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টি হলে সড়কের পাশে একটু একটু করে আরো ধসে যাচ্ছে।উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন দেবে সড়কের দেবে যাওয়া অংশ ও ধসে যাওয়া অংশ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মাধ্যমে মেরামত করে দেওয়া হবে।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার বাজেট ১৫ কোটি টাকা
ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ১৫ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বাজেট ঘোষণা করেন পৌরসভার মেয়র মো. আজাদ খান। এবারের বাজেটে পৌরসভার বিভিন্ন রাজস্ব খাতে প্রস্তাবিত আয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে প্রস্তাবিত আয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পৌরসভার বিভিন্ন রাজস্ব খাতে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন উন্নয়ন খাে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রাজস্ব খাতে সমাপনী স্থিতি দেখানো হয়েছে ৪০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হাসনাইন রাসেল। এসময় প্যানেল মেয়র বরাত আলী,পৌর সচিব উত্তম কুমার সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম,প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হুদাসহ কাউন্সিলর ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন
রায়গঞ্জে তৎক্ষনাৎ মিলছে নির্ভুল জন্ম সনদ
জি,এম স্বপ্না : বাড়ি বাড়ি গিয়ে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সাথে সাথেই প্রিন্ট কপি হাতে দিচ্ছেন ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদ। ঠিক এমন চিত্র দেখা যায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষীরতলা এলাকায়। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোজিন পলাশ বাড়ির উঠানেই বসে সঠিক তথ্য নিয়ে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন আবেদন করছেন মাত্র ৪ মিনিটে আর সঙ্গে সঙ্গেই পেমেন্ট সম্পন্ন করে দুই মিনিটেই একজন বাসিন্দার হাতে পৌঁছে দিচ্ছে অনলাইন সম্পন্ন একটি জন্ম সনদ। এমন কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা জানান, নির্ভুল জন্ম- মৃত্যু নিবন্ধন করবো শুদ্ধ তথ্য ভান্ডার গড়বো এই স্লোগান কে সামনে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমাদের এই কার্যক্রম। তবে কর্মব্যস্ততায় অনেকেই সশরীরে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়ে জন্ম নিবন্ধন করতে পারেন না। তাদের জন্য সহজ উপায় হলো বাড়িতে বসেই আমাদের টিমকে সঠিক তথ্য দিয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘরে বসেই কয়েক মিনিটেই নির্ভুল জন্ম নিবন্ধন সনদ বুঝে নেওয়া। মাত্র ৬ মিনিটে একটি নির্ভুল জন্ম নিবন্ধন পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে আবেগ আপ্লুত হয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ইউনিয়নের ক্ষীরতলা এলাকার বাসিন্দা সোনামণি মাহাতো তিনি জানান, আমার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আমাদের মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে পারছিলাম না। বাড়ির কাজ কাজে সময় পাই না তাই ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়া হয় না। আজকে হঠাৎ আমার বাড়িতে এসে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসে তথ্য নিয়ে চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান সুমনসহ আমার হাতে জন্ম নিবন্ধন তুলে দিলেন সাথে সাথে আমার মেয়ের জন্ম নিবন্ধন সনদও করে দিলেন। এত সহজে যে জন্ম নিবন্ধন নিজের ঘরে বসেই পাবো তা কল্পনাও করতে পারি নাই।
আমিরাতে দন্ডিত কর্মীদের জন্য কিছুই করা হবে না
ডেস্ক রিপোর্টঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতে দন্ডিত ৫৭ বাংলাদেশির জন্য সরকার কিছুই করবে না বলে আবারও জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আবারও বলছি, দুবাইয়ে আন্দোলন করে প্রবাসীরা আইন অমান্য করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। এজন্য তাদের শাস্তি হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত প্রবাসীদের ব্যাপারে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রবাসীকল্যাণ ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের সিংহভাগ অবদান প্রবাসীদের। একটি মহল বাংলাদেশের শ্রমবাজারটা নষ্ট করতে চাইছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের প্রতিবাদে আমিরাতের বিভিন্ন শহরের বিক্ষোভের কারণে, মাত্র একদিনের বিচারে ৩ বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারান্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। আরও ৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ির এ বিচারকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের মুক্তি দাবি করেছে। অপরদিকে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী কর্মীদের দায়ী করে তাদের মুক্তি জন্য কিছু করবেন না বলে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। সূত্রঃ সমকাল।
তাড়াশের চলনবিলে পাট জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত চাষিরা
মোঃ মুন্না হুসাইন ঃ তাড়াশে অপরূপ সৌন্দ্যর্যের লীলাভূমি চলনবিল। বর্ষায় মনোমুগ্ধকর সেই বিলের রূপে যেন নতুন মাত্রা যোগ করেছে পাটের আঁশ ছড়ানোর দৃশ্য। পাটকে বলা হয় সোনালী আঁশ। এই আঁশ ছাড়ানোর জন্য পাটগাছ প্রায় ৮-১৪ দিন স্থির বা ধীর গতির পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হয়। তারপর পাটকাঠি থেকে আঁশ আলাদা করা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াকে জাগ দেওয়া বলে। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় পাট জাগ দিতে চাষিরা ভোগান্তি পোহালেও তাড়াশের চলনবিলের হাটি কুমরুল বিশ্ব রোডের ৬নং ব্রিজ ৭নং ব্রিজ ৮নং ও ৯নং ব্রিজ পয়েন্টে ছারাও চলন বিলের বিভিন্ন জায়গায় কাটা পাট জাগ ও ধোওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
চলনবিলে পাট জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত চাষিরা
তাড়াশের চলনবিলের বিভিন্ন পয়েন্টে কাটা পাট জাগ দেওয়া ও ধোওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। তাড়াশ উপজেলায় নওগাঁ ইউনিয়নের মহেশরৌহালীর মাঠে সহ বিভিন্ন এলাকার জমি থেকে পাট কেটে নিয় যানবাহনে করে চলনবিলে এলাকায় নিয়ে আসছেন চাষীরা। চাষিরা জানান, তাড়াশে বিভিন্ন এলাকায় এ বছর পাটের খুব ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ করে পাট হচ্ছে। চাষিরা জানান, তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ বছর পাটের খুব ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ করে পাট হচ্ছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার আবশ্যক
সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার জন্য একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন।
বেতন আলোচনা সাপেক্ষ। সম্পাদক বরাবর যোগাযোগ করুন।
মোবাইলঃ ০১৭১৬-১৮৭৩৯২
রায়গঞ্জে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের মৃত্যু
সলঙ্গা প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে ধরতে গিয়ে স্বরসতী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে উপ-পরিদশর্ক (এস.আই) রেজাউল ইসলাম শাহ (৪৫) নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মৃত রেজাউল ইসলাম শাহ জেলার রায়গঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নওগাঁ জেলার সাপাহার গ্রামের তোজাম্মেল হক শাহ ছেলে। গত সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রায়গঞ্জের এরাদহ গ্রামের আলোচিত চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজা খুন ও ডাকাতি মামলার প্রধান আসামী নাজমুল হাসান (৩০) কে গ্রেফতার করতে অভিযানের সময় আসামী স্বরসতী নদীতে ঝাপ দেয়। এ সময় নিহত এসআই রেজাউল ইসলাম নদীতে ঝাপ দেয়। কিন্তু আসামী নদী পার হলেও এসআই রেজাউল নদীর মাঝ খানে তলিয়ে যায়।পরে উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম এ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ সদস্য নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, সকালে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামী ধরতে গেলে আসামি নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে পুলিশ সদস্য রেজাউল সাথে সাথে পানিতে ঝাঁপ দিলে তিনি পানিতে ডুবে নিখোজ হয়। তিনি আরও বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা পর পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডা. গোলাম আম্বিয়া বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।