চালের দাম আরও বাড়লো, সবজি আলু পেঁয়াজেও অস্বস্তি

Spread the love
মোঃ মুন্না হুসাইন: নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে নিত্যদিনের ভোগান্তি যেন কমছেই না। এতে সীমিত আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এবার নতুন করে বেড়েছে প্রধান খাদ্য চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালে ৪ থেকে ৫ টাকা বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে ভোক্তদের। এতে সবচেয়ে বেশি নাজেহাল নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা।
সরেজমিনে গিয়ে গত শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে তাড়াশ উপজেলার মান্নান নগর বাজার ও ঐতিহ্যবাহী নওগাঁ হাটে গিয়ে দেখা যায় এসব চিত্র ও একজন সাধারণত দিন মজুর তোফায়েলর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায় তিনি আরও বলেন, অনেকদিন ধরেই সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। এর মধ্যে চালের দাম আরও বাড়ার বিষয়টি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
তিনি জানান, নিয়মিতই মাঝারি মানের বিআর-২৮ চাল কেনেন। এতদিন প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল কিনতেন ৫৫ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা।
আরও কথা হয় ওই বাজারে ছাত্তার নামের এক চাউলের ডিলার ও দোকানের বিক্রেতা সঙ্গে। তিনি বলেন, মোকামে প্রতি বস্তা চালে ২০০ টাকা বেড়েছে। আমরা যেভাবে কিনছি, সেভাবেই বিক্রি করছি।
তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ৭৫, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি।
এদিকে, এই সপ্তাহ থেকে সবজির বাজারে যে অস্থিতিশীলতা, সেটা এখনো কাটেনি। বরং সব ধরনের সবজির দাম আরও বেড়েছে। দেশের কয়েকটি এলাকায় বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে সবজির দাম হু হু করে বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
শনিবার রাতভর বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম ছিল। সকালে ক্রেতাদের আনাগোনাও ছিল কম। নিচু এলাকার বাজারগুলো পানি জমেছে। অনেকে বাজারে এসে পড়েছেন ভোগান্তিতে।
সকালে তাড়াশের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বরবটি ৮০-১০০ টাকা, করলা ১০০-১২০, কচুরমুখি ৯০-১০০ টাকা, কাকরোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও বেগুন ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কমের মধ্যে রয়েছে শুধু লেবু ও কচু, যা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি ফেরেনি পেঁয়াজ ও আলুর দামেও। বিভিন্ন বাজারে আজ পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে।
অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে আজ ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। হাঁসের খামারি  ডিমের দামও কমেনি। প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে।
একই ভাবে আকারভেদে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। সীমিত আয়ের মানুষ সাধারণত তেলাপিয়া, পাঙ্গাস ও চাষের কই মাছ বেশি কেনেন। মাঝারি আকারের এসব মাছের কেজিও ২০০-২২০ টাকার আশপাশে। সব শেষে সিরাজগঞ্জ জেলার ও তাড়াশ উপজেলার সাধারণত জনগণ এসব নিত্য পণ্যের চড়া দাম থেকে বাঁচতে চায়।
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD