সাঈদ সিদ্দিকঃ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের নির্বাচন সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এ নির্বাচনে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে মোট ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করলেও বাকি সব প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হওয়ায় আনন্দের অন্ত নেই সমস্ত উপজেলার আপামর জনগনের।
বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে প্রার্থীকে মিষ্টিমুখ ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে শহর নগর ছাড়াও অজো পাড়া- গাঁও থেকেও আসছেন শত শত মানুষ।
পছন্দের এমানুষটিকে শুধু উপজেলা চেয়ারম্যান নয় আরো উচ্চ আসনে দেখতে চান তারা। গত ২৯ মে বুধবার অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনের আজ চারদিন পরেও মানুষের মনে আনন্দের কমতি নেই।
পছন্দের প্রার্থী জয়ী হওয়ায় নিজ নিজ এলাকায় দোয়া মাহফিল, বিজয় উৎসব ও মিষ্টি বিতরনসহ সাধারন জনগনের মাঝে খাবারও বিতরন করছেন কোন কোন এলাকায়।
সরেজমিন বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী আনারস প্রতীকের প্রার্থী প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলুর নিজ বাসা বনপাড়া পৌর শহরের মহিষভাঙ্গা রোডে গেলে চেখো পড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারন মানুষগুলোর চোখে মুখে খুশির ছাপ। বিজয়ের আনন্দে ভাসা এ মানুষগুলো ভালোবেসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। সে আনন্দ ভাগাভাগি করতেই বিজয়ী প্রার্ধীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তারা।
কথা হয় চান্দাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে, বাবলু ভাইয়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছি।মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন তবে সব সময় সাধারন মানুষের পাশে থেকে কাজ করবো বলে আশ্বাস দিয়েছি।
বিজয়ী প্রার্থীকে মিষ্টিমুখ করাতে জোয়াড়ী ইউনিয়নের কামার দহ গ্রাম থেকে এসেছিলেন, সাহাবুদ্দিন, আলতাফ ও জলিলসহ যুবসঙ্গের অসখ্য সদস্যরা। ভোটের তিনদিন পরও বিজয়ের আনন্দে ভাসা অসখ্য মানুষগুলোয় মুখরিত উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরেরর প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলুর বাসা চত্ত্বর। বিজয়ের আনন্দে ভাসা শত শত মানুষদের উদ্দেশ্যে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু বলেন, এ বিজয় আমার একার নয়, এ বিজয় আপনাদের সবার। এ বিজয় আপনাদের জন্য উৎসর্গ করলাম। আজ ফুলের মালা পাওয়ার যোগ্য আমি নই এ মালা আমি নিজেই আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসবো। আমি আপনাদের পাশে আছি, থাকবো।
বিপদে-আপদে যেকোন বিষয়ে, যেকোন সময়ে জানাবেন পাশে দাঁড়াবো। আমি রাজনীতি করে টাকা কামাতে চাইনা, আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
,আমি উচ্চ বেতনের সরকারি কলেজের চাকুরি ছেড়েছি শুধু সাধারন মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করবো বলে। বিজয়ী হয়েছি এবিজয় ধরে রেখে সামনে যেনো এগুতে পারি সবাই দোয়া করবেন।