খামারিদের ট্রেনিংয়ের টাকা প্রাণিসম্পদ অফিসের পেটে

Spread the love
তাড়াশ প্রতিনিধি:  রাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা  প্রাণিসম্পদ অফিসের এলএফএ বলাই সিংহ’র বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণার্থীদের নামে বরাদ্দকৃত ভাতার টাকার ভিতর থেকে ২’শ টাকা করে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলা ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে এ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এবিষয়ে তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগে জানাগেছে,তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে গত জুলাই ২০২৩ মাসে মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদে খামারিদের সাইলেজ তৈরি পদ্ধতি শিখানোর উপর ৮০ জনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়। দুইদিন ট্রেনিং শেষে প্রত্যেক খামারিকে এক হাজার করে টাকা সম্মানিভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু এসময়
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের এলএফএ বলয় কুমার সিংহ খামারী প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট থেকে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে প্রতি প্রশিণার্থীর বরাদ্দকৃত ভাতার ভিতর থেকে ২০০ টাকা করে কেটে নেন। কিন্তু ওই টাকার বিষয়ে প্রশিক্ষনার্থী খামারিরা জানতে চাইলে প্রশিক্ষনার্থীদের তিনি জানান এই টাকা জেলা ও তাড়াশ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে দিতে হবে। অপরদিকে একই কায়দায় দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কাটাগাড়ি বাজারে অনুষ্ঠিত ট্রেনিং থেকেও তিনি ২০০ করে টাকা কেটে নিয়েছেন। এতে খামারিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ও এবিষয়ে এফএলএ বলয় সিংহ’র বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন । সেইসাথে এফএলএ বলয় কুমার সিংহ’র অপসারণও দাবি করেছেন তারা।
অভিযোগে আরো জানাযায়, খামারিদের ঘর মেরামত বাবদ ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকাও তিনি উত্তোলন করে নিজেই ১৫ হাজার টাকার মধ্যে কাজ শেষ করে,সে টাকার ভিতর থেকেও ৫ হাজার করে টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও গ্রামে খামারিদের প্রাণির চিকিৎসা দিতে গেলে তিনি ৫০০ টাকা করে ভিজিট নিচ্ছেন। অথচ ফ্রি চিকিৎসা দেওয়ার কথা রয়েছে। এভাবে সে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছেন তাড়াশ উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসকে। এলএফএ বলাই সিংহ’র এসকল দুর্নীতির বিষয়টি জেলা ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাগণ জানলেও তারা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তারাই রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকায় রয়েছেন এবং তাদের ছত্রছায়ায় তিনি এমন দুর্নীতি করে চলেছেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাগণ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ফলে ভুক্তভোগীরা তদন্ত পুর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের এলএফএ বলাই সিংহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ভুক্তভোগীদের সাথে বিষয়টি আমি নিস্পত্তি করে নেবো।
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD