পাবনা প্রতিনিধি
ভাঙ্গুড়ায় আ. লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়। সেখানে পাশাপাশি গাদাগাদি করে বসেন নেতৃবৃন্দরা।সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৩ জানুয়ারি থেকে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশনা না মেনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রধান বলেন, করোনা মহামারির বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখে এ সময় সম্মেলন না করতে চাইলেও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনের তাগাদা দেন। ফলে বাধ্য হয়ে করোনার এই কঠিন সময়েও সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের গণসমাবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা হলেও সাংগঠনিক বাধ্যবাধকতায় সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
করোনার ঝুঁকির বিবেচনায় সম্মেলনে স্বাস্থ্যবিধি পালন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।এ বিষয়ে পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রধান বলেন, সম্মেলনে ৩ হাজার লোক সমাগম করার প্রস্তুতি নেয়া হলেও লোকসমাগম বেড়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল আওয়াল শামিম। উপস্থিত ছিলেন পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরজ কবির, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ অনেকে। এ সময় মঞ্চের সামনে, পেছনেসহ আশপাশে ব্যাপক লোকসমাগম ছিল। কোনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি। কারো মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতাও ছিল না। গাদাগাদি করে বসার কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই।
Leave a Reply