ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক মতিঊল ইসলামের বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর অবৈধ্য দখল উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১০টার দিকে উপজেলা রির্পোটার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাংবাদিকদের জানান, পৌর সদরের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর মেন্দা মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক মতিউল ইসলাম। তার বসতবাড়ির পূর্বপাশের প্রতিবেশী মৃত হাকিম উদ্দীনের ছেলে মোঃ শহীদের অত্যাচার, নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ২০১৮ সালে ২০২ ফুট লম্বা ও ১০ফুট উচু করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে তারা বিভিন্নভাবে প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে না পেরে নারিকেল গাছ রক্ষার অজুহাতে লোকজন দিয়ে অত্যাচার করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল ও স্থানীয় প্রধানবর্গের মধ্যস্থতায় শহীদের পরিবার ভবিষ্যতে ক্ষতি করবেন না মর্মে স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গিকার করেন। চুক্তি অনুযায়ী সীমানা প্রাচীরের ক্ষতি হলে শহীদের পরিবারের নিকট তার পুনঃ নির্মাণের দাবী করতে পারবেন এবং আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। কিন্তু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের দিকে সীমানা প্রাচীর নষ্ট করার লক্ষ্যে ওয়ালের উপর খড়ের পালা ও খড়ির ট্যাক দিয়ে ঢেকে দেয়। তদুপরি তাদের টিনের ঘরের পানি প্রাচীরের উপর পড়ে ওয়াল দুর্বল হয়ে পড়ছে ও ওয়ালের উত্তর দিকে কোনায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে শহীদের স্ত্রী নূরনাহার অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। বাধ্য হয়ে সুবিচার দাবী করে পাবনা সিনিয়র জুডিশিয়াল কোর্টে ২০২১ সালের ১১ আগস্ট মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলা তদন্তে পাবনা পিবিআই গোলাম মোস্তফা বিপি নং ৯১১৯২২৩৪২৯ টাকার বিনিময়ে প্রকৃত বিষয় আড়াল করে উল্টো তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে জমা দিয়েছেন। যার ফলে তিনি ওই তদন্ত প্রতিবেদনে গত ১৭ নভেম্মর ২০২১ সালে সুবিচারের আশায় উক্ত আদালতে দাখিলী তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি বিবরণ জমা দিয়েছেন। বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক ও তার স্ত্রী অবসর প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা খাতুন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিরিবিলি পরিবেশে বেঁচে থাকার আবেদন জানিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শহীদ বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অসত্য। তিনি কারো সীমানা প্রাচীর দখল করেন নি।