তাড়াশে নির্বাচনে হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার

Spread the love

চলনবিল প্রতিনিধি :
আসন্ন পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাড়াশ উপজেলার ৮নং দেশীগ্রাম ইউনিয়নে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে গেলে ভোটারের হাত-পা ভেঙে দেওয়াসহ মেরে ফেলা ও দেশ ছাড়ার হুমকি দেয়ার বিষয়ে অভিযোগ এসেছে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ এনেছেন একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক।
গত ১ জানুয়ারী সকালে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার উজ্জ¦ল কুমার রায়। এর আগে ১ জানুয়ারী তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এবার নির্বাচনে জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তবে আওয়ামী মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কুদ্দুস সরকার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। আব্দুল কুদ্দুস বিভিন্ন সময় বলে বেড়াচ্ছেন, ‘নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকে কেউ ভোট দিতে কেন্দ্রে গেলে সেই ভোটারের মেরে ফেলা হবে ও হাত-পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখা হবে। গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে, নৌকার অফিস ভাঙচুর করে প্রতি পক্ষকে মামলা দিয়ে ঠান্ডা করেছি। কোনো ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট দিলে পিটিয়ে বের করে দেওয়া, নিজস্ব বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হবে’।
এসব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক।এদিকে সম্প্রতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার প্রতীক পাওয়ার আগেই তার নির্বাচনী এলাকায় আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া গত ২০ ও ২২ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের মারধরেরও অভিযোগ রয়েছে তার কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া। আমার বিরুদ্ধে এতো কিছু করেছে, আমি কি আজ পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কিছু বলেছি বলেন। সে হলো নালিশ পার্টি, সে অভিযোগ করবে। আমি এতো কিছু বলছি তার কাছে কি কোনো প্রমান আছে? সে কি দেখাতে পারবে?
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার উজ্জ¦ল কুমার রায় বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়গুলো রিটার্নিং কর্মকর্তারাই দেখবেন। নির্বাচনে সংহিতার বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। কোনো অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD