আবুল কালাম আজাদ:
নাটোরের গুরুদাসপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর এলাকায় ওই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সোহেল রানার সমর্থক মামলার বাদী আলাউদ্দিন মাঝি ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত২৫ জনসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে শিহাব নামের এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহারাজপুর এলাকার আওয়ামী সমর্থক সোহেল রানা ও তার কর্মী সমর্থকদের সাথে একই এলাকার শিহাব – ইলিয়াস হোসেন ও তার সমর্থকদের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। সেই জেরে সোমবার রাতে দুই গ্রুপের ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং শিহাব নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে। পারদিন মঙ্গলবার সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে ঊভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।সোহেল রানার সমর্থক মামলার বাদী আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, সোমবার রাতে হাতে হাত রেখে মিমাংসার নাটক করে পরদিন সকালে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ইলিয়াস- মিন্টু বিশ্বাস ও শিহাবের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ও আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুর করা হয়। হামলায় তাদের ৭জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করা হয়েছে।
শিহাব-ইলিয়াসের সমর্থক মিন্টু বিশ্বাস পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, অতর্কিতভাবে সোহেল রানার নেতৃত্বে তার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে ৫জনকে আহত করা হয়েছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল মতিন জানান, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিহাব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। #