অসহায় বৃদ্ধ দম্পত্তির পাশে দাড়ালেন সাগর  

Spread the love

“মানুষ মানুষের জন্যে—–“

আবুল কালাম আজাদ :

“মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানুভূতি কী মানুষ পেতে পারেনা –“ ।এমনই তো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হচ্ছে তার বিপরীত।  নাটোরের গুরুদাসপুরের চন্দ্রপুর গ্রামের ভাগ্য বিড়ম্বিত বৃদ্ধ দম্পত্তি শতবর্ষী বাছেদ আলী ও  নব্বই বছর বয়সী রুপজান বেগমের শেষ বয়সে এসে নিজের কষ্টে গড়া সাধের ঘর-বাড়ি থাকলেও সে ঘর , সহায় সম্পত্তি থেকে হয়েছেন বিতারিত । একমাত্র পুত্র সবই নিয়েছে কেড়ে। এ বয়সে ছেলেমেয়ে নাতি-নাতনিসহ স্বজনদের সান্নিধ্যে থেকে আনন্দে জীবনযাপন করার কথা তাদের। কিন্ত ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। এখনো লাঠিতে ভর দিয়ে হেঁটে স্থানীয় বাজারে তামাক পাতা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন শতবর্শী বাছেদ।

অসুস্থতায় ভুগছেন স্ত্রী রূপজান বেগম ।বাছেদ আলীর একসময় ঘরবাড়ি জমিজমা সবই ছিলো। কিন্ত সেগুলো এখন একমাত্র ছেলে নুর মহাম্মাদ (৬৫) নিজ নামে লিখে নিয়েছেন। নুর তার পরিবার নিয়ে থাকেন আধা পাকা দালান ঘরে। আর এই বৃদ্ধ দম্পতির থাকার জায়গা হয়নি ছেলের কাছে। অবশেষে ঠাঁই হয়েছে হতদরিদ্র মেয়ে আমেনা খাতুনের (৪৮) মাচাং ঘরে।গুরুদাসপুরের মানব দরদী হাজেরা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম সাগর জানতে পেয়ে ওই অসহায়  বৃদ্ধ দম্পতির পাশে দাড়িয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে গিয়ে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও নতুন পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গি, ওড়না, তসবিহ, জায়নামাজ এমনকি আয়েসে চলাফেরা করার জন্য লাঠিও দিয়েছেন তাদেরকে।

নতুন পোশাক ও উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশি হয়ে বৃদ্ধ দম্পতি সাগরের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করেছেন।আমিরুল ইসলাম সাগর বলেন, তার বাবা মো.আনোয়ার হোসেন অসহায় মানুষের সেবা করেন। সেই আদর্শেই মানবিক কারনে বৃদ্ধ দম্পতির পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। তাদের যখন যা দরকার হবে সব দেওয়া হবে বলে জানান সাগর।জানা যায়, আমিরুল ইসলাম সাগর দীর্ঘদিন ধরে এলাকার অসহায় দুঃস্থ, এতিম,বয়স্কদের সহায় হয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্য-বস্ত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রি নিয়ে হাজির হন। সাগর সকলের সহযোগিতা এবং দোয়া প্রার্থী।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD