রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জুড়েই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। গ্রাম-মহল্লা, হাটে-বাজারে বিভিন্ন চায়ের দোকানে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে আলোচনা চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে। এরই অংশ হিসাবে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ২নং সোনাখাড়া ইউনিয়নে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। আর এই গল্পকথার আলোক মালায় উঠে এসেছে সোনাখাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান আবুহেনা মোঃ মোস্তফা কামাল রিপনের নাম। উত্তরবঙ্গে মৎস্য ভান্ডার নামে ক্ষ্যাত নিমগাছি মৎস্য আড়তের সভাপতি ই¯্রাফিল ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের সাথে কথা হয়। তারা জানান আমাদের এমপি অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ একজন সৎ আদর্শ, দূর্নীতি মুক্ত ও কর্ম পিপাসু মানুষ। তার কাছে দুর্নীতি বাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় পান না। কে কি করেন সব তার নখদর্পনে। সেখানে আমাদের চেয়ারম্যান আবুহেনা মোঃ মোস্তফা কামাল রিপন জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে রয়েছেন। তার বড় অর্জন এ ইউনিয়নে ২শ ৯৩টি গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মাণ করে মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছেন। করোনা মহামারি কালিন সময়ে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা সঠিক ভাবে বিতরণের পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উর্দাত্ব আহব্বান একটি মানুষ যেন না খেয়ে থাকে না। সে আহব্বানে সারা দিয়ে তিনি ত্রাণ কমিটি নিয়োগ দিয়ে ধনী লোকদের সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে ৮ শ পরিবারের মাঝে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি লবন বিতরণ করেছেন। বিতরণের ফলে আমাদের ইজ্জত বাচাইসে, একজন মানুষও না খেয়ে মরে নাই, এমনটাই বলছিলেন চা বিক্রেতা আক্তার হোসেন ও মাছ ব্যবসায়ী জিন্নাহ। জয়সাগর মৎস্য সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলছিলেন সোনাখাড়া ইউনিয়নে দাদন ব্যবসায়ী বেশি। আর এই দাদন ব্যবসায়ীদের চেক ডিজঅনার মামলা ব্যপক আকার ধারন করেছে। এ ছাড়া দাদন ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই ভিটা-বাড়ী বিক্রে সর্বশান্ত হয়েছেন। আবার অনেকে দাদন ব্যবসায়ীরা নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিটমোড়া দিয়ে জায়গা-জমি লিখে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রিপন চেয়ারম্যান এসব দাদন ব্যবসায়ীদের উৎখাত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভূঁয়ট ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি এনামুল হক টিক্কা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য গোলজার হোসেন ও সভাপতি জাকিরুল ইসলাম জানান, সোনাখাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসাবে আবুহেনা মোঃ মোস্তফা কামাল রিপনকেই দরকার। আরও বলেন আব্দুল মজিদ তালুকদার বিগত নির্বাচনে বিদ্রহী প্রার্থী নির্বাচন করে হেরে যান, সেইও নাকি এবারের আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাবি করছে। বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুহেনা মোঃ মোস্তফা কামাল রিপন বলেন আমার পিতা পিয়ার আলী মাষ্টার একজন প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাননের স্ব-পরিবারে নিহত হওয়ার পর যখন আওয়ামীলীগের নাম নিতেও ভয় পেত তখন আমার পিতা আওয়ামীলীগ করার কারনে নির্যাতিত হয়েছেন। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আমার পিতা আমাকে মাথায় হাত দিয়ে শপথ করিয়েছিলেন যদি গরিবের হক মেরে খাও তাবে যেন আমাকে বাবা বলে ডাকো না। আমি সে লক্ষ্যে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ৪১ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামী সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদকে মাদক, দাদন ব্যবসা ও নারী নির্যাতন নির্মূল করে ২নং সোনাখাড়া ইউনিয়নকে ডিজিটাল হিসাবে উপহার দিব।