ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভেজাল ও নিম্নমানের গোখাদ্য চড়াদামে বিক্রির কারণে বিপাকে পড়েছে পশু খামারিরা। গমের ভূষিতে , কাঠের গুড়া, ডলচুনসহ নিন্মমানের পচা আটা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল এ পশুখাদ্য। ভেজাল ও নিন্মমানের খাদ্য গ্রহণের ফলে পশুর পেটের পীড়া, স্বাস্থ্যহানি ছাড়াও দুগ্ধবতী গাভীর দুধের পরিমান কমে যাচ্ছে বলে পশু বিশেষজ্ঞদের দাবি । পাশাপাশি গোখাদ্যের ব্যবসায়ীরা এ উপজেলায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ভোজাল, নিন্মমানের নানা ধরণের কৌশলে খামারীদের শোষন করছেন। এগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন পশুর খামারীরা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুমির গঠন ও পরিবেশগত কারণে ও মিল্ক ভিটা সংলগ্ন হওয়াতে এ উপজেলায় গোখামারীদের সংখ্যা বেশী অপরদিকে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ও ব্যক্তি উদ্দ্যোগে অনেক পশুর খামার গড়ে ওঠেছে। আর খামারীরা পশুর সহযোগি খাদ্য হিসেবে ভুষি,খৈল ব্যবহার করে থাকে। সেই সুবাদে এই উপজেলার পৌর এলাকায় অনেক পশুর খাদ্যের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। কিন্তু পশুর খাদ্যের ব্যবসার পাশাপাশি কেউ কেউ গড়ে তুলেছে ভেজাল খাদ্যের কারখানা। যেখানে ব্যাপক হারে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভেজাল গোখাদ্য তৈরি হচ্ছে গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত । কেউ বা এ গ্রেড খৈল এর সাথে বি গ্রেড খৈল মিশিয়ে নতুন করে বস্তা প্যাকেট করে এ গ্রেড খৈল বলে চড়া দামে বাজারে চালিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ভাঙ্গুড়া বাজারের অনেক খৈল-ভুষির ব্যবসায়ী আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে।কিন্তু এ অঞ্চলের গোখামারিরা দুধ উৎপাদন করে মিল্কভিটাসহ দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু ভেজাল খাদ্যের দৌরাত্মে কমেছে তাদের দুগ্ধ উৎপাদন। পক্ষান্তরে খামারীরা নিরুপায় হয়ে এসব ভেজাল খাদ্য চড়াদামে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে খামারীদের পশু পেট ফাপা , বদ হজমরোগ সহ স্বাস্থ্যহানি হয়ে দুগ্ধবতী গাভীর দুধ করে যাচ্ছে। তাই ছোট ছোট খামারিদের পশু পালন করে খরচ তুলতেই প্রায়ই হিমসিম খেতে হচ্ছে।অষ্টমনিষা এলাকার খামারী মো. নওশাদ আলী বলেন, দুগ্ধবতী গাভীর পেটের পীড়ায় প্রায় ৩মাস ধরে চিকিৎসা দিয়ে অনেক টাকা নষ্ট হয়েছে।উপজেলার সাবেক প্রাণি সম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভেজাল গোখাদ্য খাবার ফলে পশু পেটের পীড়ায় ভুগতে পারে। পেট ফাপা ও বদহজম রোগসহ পশুর স্বাস্থ্যহানি, দুগ্ধবতী গাভীর দুধ কম হবে। দুগ্ধ খামারিরা ভেজাল গোখাদ্য উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।
|