এম এ মাজিদ,তাড়াশ থেকে :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পানি প্রবাহের পথে প্রভাবশালীদের সোতি জাল স্থাপনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী এলাকা বাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তালম ইউনিয়নের কলামুলা ভাদাই ব্রীজ থেকে শুরু করে তালম নগড়পাড়া পর্যন্ত ভদ্রাবতী নদীর ৩ কিলোমিটারের মধ্যে এলাকার প্রভাবশালী চক্র ১১টি স্থানে সোতি জাল স্থাপন করেছে।
উত্তরের পানি প্রবাহের একমাত্র পথে সোতি জাল স্থাপনের ফলে সদ্য রোপন করা আমন ধান, মাছের পুকুর, শাক সবজিরসহ নিচু রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা বার বার সোতি জাল মালিকদের সমস্যার কথা বললেও তারা কর্নপাত করেন নাই। ভুক্তভোগী রেজাউল করিম জানায়, পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করায় প্রায় ১ মাস যাবৎ আমার মাটির ঘর ডুবে থাকায় দেওয়াল ভেঙ্গে পরেছে। তিনি আরো জানায় আমার মত অনেকের বাড়ির মাটির ঘর দীর্ঘ দিন পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।
কলামুলা গ্রামের কৃষক বেল্লাল হোসেন জানায়, পানিতে সদ্য রোপন করা আমন ধান ও বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা জানায়,অতিদ্রত পানি নেমে না গেলে রোপা আমন চাষ সম্ভব হবে না। কোলাকুপা গ্রামের ফিরোজ উদ্দিন জানায়, সোতি জালের বাধায় পানি নামতে না পেরে রাস্তাঘাট ডুবে নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। আক্ষেপে করে ভুক্তভোগীরা জানায়,বন্যার পানি না আসায় চলনবিলে এখুনো নৌকা চলাচল শুরু করেনি। অথচ আমাদের উচু এলাকায় পারাপারের জন্য বাধ্য হয়ে কলা গাছের তৈরী ভেলা ব্যবহার করতে হচ্ছে। বন্যায় হাবুডুবু খেতে হচ্ছে আমাদের।
এবিষয়ে তালম ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাসউজ-জামান বলেন, কতিপয় ব্যক্তির কারনে বৃহৎ স্বার্থের ক্ষতি হতে দেওয়া হবেনা। প্রশাসনের সহযোগীতায় অতিদ্রত সোতিজাল উচ্ছেদ করা হবে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। সোতি জাল উচ্ছেদ অভিযান চলমান আছে।