গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধনের পরের দিনই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির মিলার ও সাধারণ কৃষকরা। নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপজেলা খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের বিরুদ্ধে রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কৃষক ও মিলারদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী দালাল চক্র দীর্ঘকাল ধরে স্থানীয় সাংসদের মদদে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে অনিয়ম-দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করে আসছে। স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস ১১৮ জন মিল মালিককে বাদ দিয়ে মাত্র দুই মিল মালিক সামছুল হক শেখ ও আব্দুর রহিম মোল্লার মাধ্যমে খাদ্য গুদামে নি¤œমানের চাল সরবরাহ দিয়ে লক্ষলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অন্তত ২০ বছর ধরে তারা এভাবে সিন্ডিকেট করে আসছেন। অপরদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রকৃত মিলাররা।
ভুক্তভোগী মিলার বছের আলী ও বয়েজ আলী বলেন, আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে এই সিন্ডিকেট। প্রতি মৌসুমে তারা খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে যোগসাজস করে অন্তত ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বিগত বছরগুলোতে মিলারদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা চাউলে ৬০ টাকা করে আর্থিক সুবিধা আদায় করে ওই সিন্ডিকেট।এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উম্মে কুলসুম বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।খাদ্য পরিদর্শক বিদ্যুৎ কুমার দাশ বলেন, এবারে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা হারে ৪৮১ মেট্রিকটন ও ৪০ টাকা কেজি হারে ৩ হাজার ৩৮৪ মেট্রিকটন চাল ক্রয় করা হবে।
এ ব্যাপারে সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের সভাপতি ও ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, মিলারদের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
আলী আক্কাছ
০১৭৪০-৮৪৬৯৪০