গোলাম মোস্তফা : হাটিকুমরুল বনপাড়া মহা সড়কের তাড়াশ অংশের তিনটি ব্রিজে অবৈধ সোতি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে আটকা পড়ছে পোনা ও মা মাছসহ সব ধরনের জলজ প্রাণী। একই সঙ্গে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে পানি প্রবাহ। এদিকে সোতি জালের প্রতিবন্ধকতায় বিস্তীর্ণ উর্বর জমিতে পানি আটকে থাকার শঙ্কায় রবিষশ্য আবাদ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহা সড়কের ৮নং বিজ্রের নিচে ২টি সোতি, ৯নং ব্রিজের নিচে ২টি সোতি ও ১০নং ব্রিজের নিচে ২টি বিশাল সোতি জাল। তবে জাল পাতার সময় না দেখলে পরে বোঝার উপায় নেই, পানির নিচে সোতি জাল আছে। পানির নিচে বাঁশ পুঁতে বিশেষ কৌশলে জালগুলো পাতা হয়েছে। ব্রিজের উপর থেকে যতই ডাকাডাকি করা হোক, মৎস্য নিধনকারীরা না তাকিয়ে দেখেন, নাতো কোন প্রশ্নের উত্তর দেন। পূর্ব পরিচিত না হলে তাদের পরিচয় জানাটাও মুশকিল। দিনে তারাহুরা করে সোতি দিয়ে সটকে পড়েন। আর রাতভর জাল থেকে মাছ সংগ্রহ করেন।
ভুক্তভোগী জেলে ফজল আলী, কাদের হোসেন ও খয়বার হোসেন জানান, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের ৩টি ব্রিজের সোতিতে অধিকাংশ মাছ আটকা পরে। এছাড়া ভাটিতে ধর্মগাছা ব্রীজের দক্ষিণে ছাওয়ালদহে সোতিজালে ব্যাপক মাছ ধরা হচ্ছে।যে কারণে ভরা মৌসুমেও তেমন মাছের দেখা মিলছে না।