চলনবিলে দ্বিতীয় দফা বন্যায়  কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি

Spread the love

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরসহ চলনবিলের সবক’টি উপজেলায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোপা আমন ধান ও আগাম সবজি ক্ষেত পানির নিচে ডুবে গেছে। ফলে দ্বিতীয় দফায়ও স্বপ্নভঙ্গ হলো কৃষকের। তাদের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা অবস্থা হয়েছে। সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় বাজারেও সবজির সংকট দেখা দিয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, উপজেলায় ৫ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু বন্যা ও প্রবল বর্ষণের কারণে ৩৫ হেক্টর জমির বীজতলা পানির নিচে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের ধারণা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি। সবজি চাষীদের মনোবল বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবে বলে জানা গেছে। অপরদিকে তাড়াশসহ বিলপাড়ের অন্যান্য উপজেলার পরিস্থিতিও কমবেশী অনুরুপ।

উপজেলাগুলোরর অপেক্ষাকৃত বিভিন্ন উঁচু এলাকায় লালশাক, পুইশাক, পালংশাক, ফুলকপি, মরিচ, লাউ, ডাটা, ঝিঙ্গে, মুলা, বেগুনসহ বিভিন্ন শাকসবজি রোপন করা হয়েছিল। কিন্তু পানি বৃদ্ধিতে জমিগুলো ডুবে যায়। ধুলিসাৎ হয় সবজি চাষীদের স্বপ্ন। চাঁচকৈড় পুরানপাড়া এলাকার সবজি চাষী আফতাব, মোতালেবসহ অনেকে জানান, পানি কমার সাথে সাথে আবারো ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু বন্যা বৃষ্টি তাদের পিছু না ছাড়ায় বারবার তাদের মার খেতে হচ্ছে। সামনে রবিশস্য এবং বোরো ফসলের আবাদ করা নিয়েও তারা দুশ্চিন্তায় আছেন। কারণ চলনবিলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা হওয়ায় পানি বের হতে দেরি হবে। পিছিয়ে যাবে রসুন, সরিষাসহ রবিশস্যের চাষাবাদ। এতে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোরো ধানের চাষও পিছিয়ে যাবে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়াসহ পাশর্^বর্তী তাড়াশ ও চাটমোহরসহ ১০টি উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD