চলনবিল বার্তা ডেস্ক : হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজা গত শনিবার দুপুর দুইটায় চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ওই মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন।
গত শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল্লামা শফীর ছেলে ও হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী। হেফাজত আমিরকে ঢাকার জামিয়া ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় গোসল ও কাফন পরিয়ে শুক্রবার আনুমানিক রাত ৩টায় হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ (মজলিসে শুরা কমিটি) তাকে মহাপরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মাদ্রাসার উপদেষ্টা (সদরে মুহতামিম) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।ওই দিনই ছাত্র বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রায় শতবর্ষী মহান ইসলামী চিন্তাবিদ ও ইসলাম প্রচারক আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। উল্লেখ্য, আধুনিক যুগে বাংলাদেশে বিশেষ করে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে তার প্রশংসনীয় অবদান রয়েছে। কালের কণ্ঠ।