চলনবিলে লাগামহীন কাঁচাবাজার

Spread the love

 

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: শহরের পাশপাশি চলনবিলের সর্বত্র এবং নাটোরের গুরুদাসপুরের গ্রামগঞ্জের হাটবাজার গুলোতেও শাকসবজির চড়া দাম। মানুষের আয় কমলেও গত একমাস ধরে সবজির বাজারে আগুন লেগে আছে। করোনা সংকটে আয় কমার পাশাপাশি সবজির ক্ষেতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক সবজিক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আমদানি কমেছে। বেড়েছে মানুষের কষ্টের মাত্রা।
উপজেলার চাঁচকৈড়, গুরুদাসপুর, নাজিরপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কমদামের মধ্যে পেপে ২৫ টাকা কেজি, আলু ৩৫ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজিই শুধু নয়, বাজারে এখন চাল, ডাল, ডিম, গরুর মাংস, বয়লার মুরগী, রসুন, আদার দামও চড়া। ভজ্য তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও পেঁয়াজের দাম কেজিতে এক লাফে ৪০ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে। পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
এদিকে টানপোড়েনের কারণে বাজার খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে   মানুষ। বাজারে তাই ক্রেতাও কম। চলনবিলের সবগুলো উপজেলায় সবজির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায়  মানুষের নাভিশ^াস শুরু হয়েছে। শীতকালীন সবজি বাজারে না আসা পর্যন্ত স্বস্তি ফিরবে না বলে খুচরা বিক্রেতারা মন্তব্য করেছেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD