মোঃ আব্দুস সামাদ, উলিপুর, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ
হিথ্র বিমান বন্দর হতে বঙ্গবন্ধু যখন ঢাকার পথে
“দেব দুলাল” কলিকাতার “ক” কেন্দ্র হতে
স্ব-কন্ঠে ঐ খবর পাঠক দুটি গান গায়
স্বাধীন বাংলায় বঙ্গবন্ধুকে স্বাগতম জানায়।
—“সেই বাংলার কথা বিশ্বের মাঝে ছড়িয়ে দিল কার সে কন্ঠস্বর
মুজিবর-শেখ মজিবর , মুজিবর-শেখ মুজিবর।”
দেশ গড়ার সংগ্রামে ডাক কে দেবে আর
স্তব্ধ হল আজ বাংলার সেই বজ্র কন্ঠস্বর।
বিশ্ব মানচিত্রে উদয় যখন স্বাধীন বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধু মসনদে বসলেন কালজয়ী ণৃপতীর বেশ
’৭৪-এ গিয়েছিলেন জাতিসংঘে বাংলার কথা বলতে
বাংলায় তথায় ভাষন দিয়েছিলেন সদর্পে।
সে মহান আজ পরপারে আমাদেরকে ছেড়ে
এমন নেতা আর পাবোনা হাজার বছর কেঁদে
শোক সাগরে ডুবে গেল জাতি বুকে বড় ব্যথা
এ জনমে আর হবে না বঙ্গবন্ধুর দেখা ।
এগিয়ে আর আসবে না কেউ কি চাষ তোরা ? বলে
ভুখাদেরকে আর দেবে না লঙ্গর খানা খুলে
তাদেরকে আর কে দেখবে ? যাদের নেই সম্বল
শীতার্তদের কে দেবে আর শীত বস্ত্র কম্বল।
রিলিফ দিয়ে কে করবে আর বস্তি বাসির সেবা
অনাথ আশ্রমের অনাথদের খাবার আর দেবে কেবা
স¯েœহে আর বলবেনা সে, ইতিমরা সন্তান আমার
রমজানে আর ওদের সাথে করবে না ইফতার।
ছাত্রদেরকে বলবেনা আর ল্যাহা পড়া কর
চাষীদের কে বলবেনা আর লাঙ্গল কোদাল ধর
যুবাদেরকে বলবেনা আর বাবুয়ানা ছাড়
সোনার বাংলা গড়ার তরে সবাই কাজ কর ।
জনগনকে সামনে নিয়ে শুনাতে অভয় বাণী
পদ্মা যমুনা শুকিয়েছে বঙ্গোপসাগর শুকায়নি
এমন গভীর ভালবাসা মোরা কার কাছে আর পাব
দুহাত তুলে মোদের ভালবাসা কারে আর জানাবো।
হযরত ওমার (রাঃ) মরু আরবের ভুখাদের ঘরে ঘরে
খাবার বয়ে দিয়ে আসতেন নিজেই কাঁধে করে
শেখ মুজিবের এ বাংলাদেশে খাবার, দেখলাম চুয়াত্তরে
মুজিব ঘাটি নামটি তার খেয়েছে সবাই পেট পুরে।
’৭০ এর ডিসেম্বরের নির্বাচনে পড়লেন মহা বিজয়ের মালা
নভেম্বরে বাংলায় আঘাত হেনেছিল শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রলয় ভোলা
ছুটে গেলেন দরদী মুজিব উপকুল বাসীদের পাশে
ত্রাণ সামগ্রী বিলিয়ে দিলেন দুর্গতদের মাঝে।