সাঈদ সিদ্দিক : করোনা ভাইরাসের কারনে এলাকায় সংবাদপত্র না আসায় ও পত্রিকা বিক্রি বন্ধ থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ৮ জন পত্রিকা বিক্রেতা প্রতিনিধি।
দিন গুনছেন কবে এমন অবস্থার নিরসন হবে। কবে আবার স্বাচ্ছন্দ্যভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। বিধাতার কাছে ভাইরাসমুক্ত একটি সুন্দর সকালের প্রত্যাশাও করছেন তারা। বৃহস্পতিবারে খোঁজ নিতে গেলে দীর্ঘদিন যাবৎ একই পেশায় জড়িত থাকা বাবলু রোজারিও জানান, জীবন যাপনের জন্য কোনদিন অন্য পেশা বেঁচে নি নাই। প্রায় ৩০বছর যাবৎ এ পেশাটাকে নেশার মতো ধরে রেখেছি। আজীবন অর্থ সম্পদের দিকেও তাকায়নি। কিন্তু এ কয়টা দিন কাজ না থাকায় সে অভাব অনুভব করছি। বাবা-মা,ছেলে-মেয়েসহ ৭জন সদস্যের সংসার চালাতে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
একই পেশায় জড়িত থাকা বনপাড়া বাইপাস এলাকার মোঃ সেলিম হোসেনকেও ৫ সদস্যের সংসার চালাতে এ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কথা হয় পত্রিকা বিক্রেতা জোনাইল ইউনিয়নের আঃহান্নান,মৌখাড়ার জাকির হোসেন,আনোয়ার হোসেন,বনপাড়ার মিকি সাওড়িয়া,তিরাইলের সাইফুল ইসলাম ও আব্দুস সালামের সঙ্গে। তারা এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের জন্য কোথায়ও কোন সহায়তার সুযোগ আছে কিনা তা জানতে চান। তাদের সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন জানান, তাদের সাথে যোগাযোগের তেমন কোন মাধ্যম পায়নি, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডেকে নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে।
বড়াইগ্রাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, পুরো উপজেলাকে করোনার প্রভাবমুক্ত করতে সকাল থেকে রাত অবদি পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এবিষয়ে জনসচেতনতাসহ সাহায্য-সহযোগিতা, খেটে-খাওয়া মানুষের দ্বারে দ্বারে পোঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তালিকা পেলে অতিদ্রুত সহযোগিতা এরাও পাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।