চলনবিল বার্তা ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থেকে রানীরহাট সড়ক যানবাহন ও মানুষের চলাচলে দূর্ভোগে শিকার হচ্ছে। বহুপ্রতিক্ষার পর সড়ক ও জনপদের আওতাধীন তাড়াশ-রানীহাট সড়কের মেরামত কাজে বালির পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করে কাজ করায় সড়কে বৃষ্টির পানি জমে এক হাটু কাঁদার সৃষ্ঠি হয়েছে। ফলে ওই পথ দিয়ে যাতায়াত কারী হাজারো মানুষের ব্যাপক দূর্ভোগে শিকার হতে হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ উপজেলা সদরে আসতে বর্তমানে ৬ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। এতে দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। সড়ক মেরামতের কাজে ধীরগতি ও অনিয়ম এভাবে আর কত দিন চলবে এমন প্রশ্ন সাধারন মানুষের।
এদিকে সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগ (সওজ) কয়েক দফা সর্তকীকরণ চিঠি দিলেও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মো. ময়েন উদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড নি¤œ মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেই চলছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকবাসী। জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (রাজশাহী জোন) থেকে রাজশাহী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে ৩০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ-রানীরহাট সড়ক প্রশস্তকরণ, মজবুতিকরণ ও মেরামত কাজের দরপত্র আহব্বান করা হয়। এতে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোঃ ময়েন উদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড তাড়াশ-রাণীরহাট সড়কের প্রশস্তকরণ, মজবুতিকরণ ও মেরামত কাজের কার্যাদেশ পান। এ প্রসঙ্গে মোঃ ময়েন উদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড’র ঠিকাদার প্যালেস্টাইন দুলাল হোসেন (০১৭১৫-২৩৫২৭৫) সমুঠোফোনে জানান, সড়কে সামান্য কিছু খারাপ বালি ভুলক্রমে ফেলা হয়েছিল পরে তা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, তাড়াশ-রানীরহাট সড়কের নি¤œ মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় ঠিকাদারকে কয়েক দফা সর্তকীকরণ ও লিখিত ভাবে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যথাযর্থভাবে কাজটি করার জন্য মৌখিকভাবে বলাও হয়েছে। এতে কাজ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ দ্রুতই নেয়া হবে।