গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে এক সন্তানের জননী লতিফা হেলেন মঞ্জু (৩৫) নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জানান, গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে লতিফা হেলেন মঞ্জু নাজিরপুর বৃকাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার পদে চাকরি করতেন। প্রায় ১৫ বছর আগে একই গ্রামের মমিনুল ইসলামের সাথে লতিফার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে লতিফা ও তার মা মনোয়ারা বেওয়া একসাথে বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মা মনোয়ারা বেওয়া পাশের বাড়িতে গেলে বৃষ্টিতে আটকে যান তিনি। ওইদিন লতিফার শিশুসন্তান মিতুও ছিল পিত্রালয়ে। সেই সুযোগেই কে বা কারা লতিফাকে একা পেয়ে হত্যা করেছে। রাত ১০টার দিকে মা মনোয়ারা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন শয়নঘরের বারান্দায় রক্ত পড়ে আছে এবং মেয়ে লতিফাও নেই। তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা খোঁজাখুঁজির পর পার্শ্ববর্তী গোলাম মওলার পুকুর থেকে লতিফার ক্ষতবিক্ষত ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। এসময় নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানোর রক্তাক্ত ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়। খবর পেয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ থানায় নিয়ে আসেন এবং বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর মর্গে পাঠান।