তাড়াশে ১০টি সেতু ব্যবহারে দুর্ভোগ

Spread the love

গোলাম মোস্তফা: তাড়াশে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে নির্মিত ১০টি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুগুলো ব্যবহারে লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে মাধাইনগর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের সেরাজপুর খালের ওপর নির্মিত সেতুটিতে দু’বছরেও সংযোগ সড়কের কাজ না হওয়ায় অবশেষে স্থানীয়রা স্বেচ্ছা শ্রমে ঐ সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে নিয়েছেন। আর বারুহাস ইউনিয়নের পেঙ্গুয়ারি গ্রামের সাইট খালের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়েছে “অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান” কর্মসূচির আওতায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গ্রামীণ রাস্তায় ১২টি সেতু নির্মাণের জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সান্দুরিয়া গ্রামের সান্দুরিয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি গ্রামবাসি একপাশে তাল গাছের গুল আরেক পাশে ইউক্যালিপটাস গাছের গুল ফেলে তা ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক সড়কের উলিপুর গ্রাম এলাকায় সাইট খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। অনুরুপ চিত্র বাকি ৮টি সেতুরও।

সান্দুরিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী, শাজাহান আলী, আব্দুর রহিম, সাজু ফকির, ইসমাত আরা, শাহানা পারভিন প্রমূখ জানান, তাদের গ্রামে সেতু নির্মানের প্রায় তিন বছরের মতো হয়ে গেল। অথচ এখনও দু’পাশে সংযোগ সড়ক করা হয় নাই। নিরুপায় হয়ে তারা গাছের গুল ফেলে কোন রকমে সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন। তবে যান্ত্রিক যানবাহনসমূহ চলাচল করতে পারেনা।

উলিপুর গ্রামের রহিজ উদ্দিন, আখলেছুর রহমান, কোরবান আলী, সাজেদুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, রোকেয়া পারভিন, শ্যামলী খাতুন প্রমূখ জানান, সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটি দিয়ে এপার-ওপার কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বছরের পর বছর।

সেরাজপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম সরকার, আজগর আলী, জাকির হোসেন, আবু হাসান, টুটুল, শাহাদত, নাজমুলসহ প্রমূখ জানান, যুগ যুগ অপেক্ষার পর সেরাজপুর খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করেন সরকার। তবে সেতু নির্মাণের প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দুর্ভোগ থেকে যায় আগের মতই। নিরুপায় হয়ে তারা স্বেচ্ছা শ্রমে সংযোগ সড়ক করে নিয়েছেন।

বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোক্তার হোসেন বলেন, পেঙ্গুয়ারি গ্রামের সাইট খালের সেতুটিতে সংযোগ সড়ক না থাকায় গ্রামবাসী সেতুটি ব্যবহারও করতে পারছিলেন না। পরে “অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান” কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মান করে তা লোকজনের চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নুর মামুন দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, ইতোমধ্যে সংযোগ সড়ক বিহীন সেতুগুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধত্বন দপ্তরে পাঠিয়ে সড়ক নির্মানের জন্য যোগাযোগ অব্যহত রেখেছেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD