আবদুর রাজ্জাক রাজু
(চলনবিল বার্তার ২য় বর্ষ পূর্তির মুহুর্তে)
দ্বিতীয় বর্ষ পেরিয়ে তৃতীয় বছরে পদার্পণ
করতে যাচ্ছে তাড়াশ তথা চলনবিলবাসীর
প্রিয় পত্রিকা সাপ্তাহিক চলনবিল বার্ত।
জাতীয় আন্তর্জাতিক অনেক গণমাধ্যমের বয়স যখন শত বছর
বা তারও অধিক সে তুলনায় চলনবিল বার্তা
দুই বছরের শিশু যার এখনও
হাটি হাটি পা পা চলার অবস্থাও হয়নি।
যে কোন সংবাদপত্রের পথ চলা
আজকের দিনে সহজ বা কুশুমাস্তীর্ণ নয়
বরং প্রযুক্তির যুগে ডিজিটালের নেতিবাচক ধারা
প্রতিহতের নামে আজ মুক্ত চিন্তা স্বাধীন মতামত
প্রকাশের পথ নানাভাবে কন্টকাকীর্ণ।
প্রত্যন্ত এই সেমি শহরের জনপদে চলনবিল বার্তা
ইতোমধ্যেই নানা ভয়ভীতি ও মামলার হুমকি পেয়ে
হতচকিত হয়েছে যদিও থমকে যায়নি।
এ পত্রিকার কেউ দল বা প্রত্যক্ষ রাজনীতি করে না
এরা তাবেদারী করে না কারোই, লেজুরবৃত্তিও না
উমেদারী বা তোষামেদী করাও জানেনা।
ফলে নিভৃত পল্লীতে বিজ্ঞাপন মেলে না
প্রায়শ: পকেটের টাকার ভর্তুকির অশ্রুমাখা
বেদনা নিয়ে পত্রিকার প্রকাশ অব্যাহত রাখা
ছাড়া গত্যন্তর থাকে না।
সারা দেশে এমনকি পৃথিবীতে সংবাদপত্র শিল্পও
কর্পোরেট বাণিজ্যের দাপটে তাদের প্রতিদিনের
অবয়ব প্রকাশ করে থাকে দলের, গোষ্ঠীর, রাজনীতির
এমনকি রাষ্ট্রের সহানুভূতি বা পৃষ্ঠপোষণাও।
চলনবিলের এই নিভৃত জনপদ যেখানে
শিল্প,বাণিজ্য,শিক্ষা,প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি
এখনো তেমন বিকাশিত হয় নি-সেখানে কোন ক্ষুদে
সংবাদপত্র নিয়মিত বের করা অতীব কষ্টকর ও বিরম্বনাপূর্ণ।
অবশ্য হক কথা, সত্য কথন চিরকালই অপ্রিয়- তথাপি মানবতাবাদী
একটি দল বা মহল থাকতে হবে যারা ন্যায়ের পক্ষে
সত্যের পক্ষে ও মুক্ত চিন্তার স্বপক্ষে কথা বলবে
যদিও তা হবে অতি চ্যালেঞ্জিং কখনো বা দু:সাধ্যজনক।
তথাপি “এ তুফান ভারি, দিতে হবে পারি, নিতে হবে তরী পার”।
সেটাই সাধারণ মানুষের একান্ত চাওয়া ও একান্ত প্রত্যাশা
চলনবিল বার্তার কাছে।