তাড়াশে নৌকা তৈরির ধুম

Spread the love

হাদিউল হৃদয়: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বর্ষার পানি বাড়ার সাথে সাথে ডিঙি নৌকা তৈরি ও বেচাকেনার ধুম পড়েছে। কোথাও কোথাও নৌকাই যেন তাদের একমাত্র ভরসা। তাছাড়া যাদের গত বছরের নৌকা আছে সেটাকেও তারা মেরামত করে নিচ্ছেন চলাচলের উপযোগী করে। জানা যায়, উপজেলার চলনবিল তীরবর্তী গ্রামগুলিতে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা নৌকার মাধ্যমে স্কুলে যাতায়াত করে থাকে। বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এলাকার মৌসুমি জেলেরা নৌকা দিয়ে রাতদিন মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। উপজেলার নিচু এলাকার বাসিন্দারা নৌকার মাধ্যমে খেয়া পার হয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম, স্কুল, কলেজ, মাদরাাসা, হাটবাজারে যায়।
উপজেলার কুন্দাইল, পতিরামপুর, দিঘীসগুনা, হামকুরিয়া, শ্যামপুর, ভেটুয়া, বিনোদপুর, লালুয়ামাঝিয়া গ্রামে নৌকার ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। সরজমিনে নওগাঁ হাটে গিয়ে দেখা যায়, নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কাঠ মিস্ত্রীরা। কেউ করাত দিয়ে কাঠ কাটায় ব্যস্ত কেউ হাতুড়ি দিয়ে নৌকায় পেরেক বা গজাল লাগাতে ও কাউকে আবার তৈরি নৌকা বিক্রি করতেও দেখা গিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন ক্রেতারা তাদের পছন্দসই নৌকা এখান থেকে কিনে নিচ্ছে। উপজেলার নওগাঁ হাটে নৌকা তৈরির কারিগর দুলাল ও আলামিন বলেন, ১২বছর থেকে নৌকা তৈরির কাজ করে আসছি। তবে চলনবিলে আগের মত পানি না আসায় এখন নৌকার বেচা-কেনাও কম। সারাবছর অন্যকাজ করে সংসার চালাতে হয় আমাদের। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান বলেন, ডিঙি নৌকা নির্মাণ ব্যবহারের সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্য রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এ বাহনকে ধরে রাখতে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই ডিঙি নৌকাসহ নির্মাণ শ্রমিকদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD