তাড়াশ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জোনাল অফিস থেকে দীর্ঘ দিন যাবৎ ভুয়া বিল তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে গ্রাহকের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, তা একেবারেই অনভিপ্রেত। অনিয়মিত বিল প্রস্তুত, মিটারের কাছে না গিয়ে বিল করা যার ফলে ৩৬৬ টাকা থেকে ১ মাসে তা বেড়ে একই বাণিজ্যিক মিটারে ৪০৯০২টাকা বিল চার্জ করা হয়েছে যা বিগত মাস থেকে ৪০৫৩৬ টাকা বেশী এবং অযৌক্তিক।
বিলের কাগজে দেখা যায়, উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তা বাজারে মৃত লুৎফর রহমান নামের মিটার নং-০৪৪২৪০৯ বাণিজ্যিক ২০১৮ সালের জুলাই মাসে রিডিং ৬৭৫ থেকে ৭৩০ ব্যবহৃত ৫০ ইউনিটে ৬৩৭ টাকা, আগষ্ট মাসে রিডিং ৭৩০ থেকে ৭৬০ ব্যবহৃত ৩০ ইউনিটে ৩৬৬ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে রিডিং ৭৬০ থেকে ৪৪২০ ব্যবহৃত ৩৬৬০ ইউনিটে ৪০৯০২ টাকা ও অক্টোবর মাসে রিডিং ১১২০ থেকে ৪৪৮০ ব্যবহৃত ৩৩৬০ ইউনিটে ৩৬৩৮০ টাকা বিল দেখানো হয়েছে যা মনগড়া ও কারচুপিমুলক বলে প্রতীয়মান হয়। আবার নভেম্বর মাসে রিডিং ৪৪৮০ থেকে ৪৫২০ ব্যবহৃত ৪০ ইউনিটে বকেয়াসহ ৫৮৭৪ টাকা যা এখানেও প্রশ্নবিত্ত করে। ডিসেম্বর মাসে রিডিং ৪৫২০ থেকে ৪৫৬০ ব্যবহৃত ৪০ ইউনিটে ৪৭৫ টাকা বিল করা হয়েছে।
এ ধরনের বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে ইতোপূর্বে অভিযোগ ও লেখালেখি সত্বেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এর আগে তাড়াশ অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মিটার রিডিং রেকর্ড রাখার উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ হতে গ্রাহকদের মিটার কার্ড সরবরাহ করা হলেও কিছু দিন ব্যবহারের পর অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ করা হয়। অপরদিকে মিটার রিডিং নেওয়ার সময় বাড়ি/বাসা/দোকান মালিককে জানাবার দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশ মিটার বোর্ডে লাগানো সত্বেও পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট লোকদের থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। অযৌক্তিক ও বানোয়াট বিলের হিড়িক লেগেই আছে যা উপরে বর্ণিত চিত্র থেকে সহজেই বুঝা যায়।