তাড়াশে ১৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক ঝুঁকিপূর্ণব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১৮টি-ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ভবনগুলোর এমন বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জরাজির্ণ ভবনে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ২৫টি ওয়ার্ডে ২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এরমধ্যে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বলদিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক, সগুনা ইউনিয়নের লালুয়া মাঝিরা ও সান্দুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী কমিউনিটি ক্লিনিক, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের সরাপপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ১৮টি-ই ঝুঁকিপূর্ণ।

সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ ভবনের দেয়ালের চারপাশে ফাটল। ছাদের বিভিন্ন স্থানে মরিচা ধরা লোহার রড বেরিয়ে গেছে। পুরো ছাদ থেকে পলেস্তারা ও কংক্রিট খসে পড়েছে। মেঝের প্লাষ্টার নষ্ট হয়ে খোয়ার ছোট ছোট টুকরো আর বালু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। দীর্ঘদীন সংস্কার না করায় যেন শ্রী-হীন হয়ে পড়েছে ভবনগুলো।এসময় কথা হয় সেবা প্রত্যাশী মিতালী রানী মাহাতো, ববিতা রানী মাহাতো, লালভানু, আখী খাতুন, নাজমা খাতুন, হাজেরা পারভিন, ধুলি পারভিনসহ আরও অনেকের সাথে। তারা সকলেই বলেন, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে হয়। কখনও কংক্রিট ও খোয়া শরীরে লেগে ছিলে-ফুলে যায়। ভীতি থাকলেও অনেকটা বাধ্য হয়েই সেবা নিতে তাদের এমন নাজুক ভবনে ঢুকতে হয়। এদিকে বলদিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি শ্রী রাজিব চন্দ্র মাহাতো, কুসুম্বী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি শ্রী মিত্তন কুমার সাহা, উপর সিলোট কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএচসিপি আমিনা খাতুন অন্যান্য সিএইচসিপি জানিয়েছেন, নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে সেবা দিতে হচ্ছে বছরের পর বছর। সরকারি ছুটি ব্যতিত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত থাকতে হয়। অনবরত সিমেন্ট, বালু, খোয়া খসে পড়ে ময়লায় ভরে থাকে। প্রচন্ড গরমেও বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করা যায়না। বাতাসের সঙ্গে ছাদ ও দেয়াল থেকে অসখ্য ময়লা ঝরতে থাকে। ঠিকমতো চোখ মেলে তাকানো যায়না। বৃষ্টির দিনে ছাদ ও দেয়ালের ফাটল দিয়ে পানি পড়ে সবসময় স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র নষ্ট হয়ে যায়। ঔষধ, আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ভিজে থাকে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শিমুল তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের মধ্যে তিনটি ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করা হচ্ছে। তিনটি’র সংস্কার কাজ শেষের দিকে। বাকিগুলোর কাজও শিগগিরই শুরু করা হবে

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD