যুদ্ধ শিশুর স্বীকৃতি চেয়ে একটি চিঠি

Spread the love

বরাবর,
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

মাধ্যম : জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ।

বিষয় : যুদ্ধ শিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান প্রসঙ্গে।

জনাব,
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী মেরিনা খাতুন, পিতা: মৃত: ফাদিল আকন্দ, মাতা : মৃত: পচি বেগম (বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা, গ্রাম: তাড়াশ, ডাকঘর: তাড়াশ, উপজেলা: তাড়াশ, জেলা: সিরাজগঞ্জ। আমার মাতা মৃত: পচি বেগমকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয়ভাবে ৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। যার গেজেট নম্বর-২০৫। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় আমার মাতা পচি বেগম পাকবাহিনী ও তার দোসরদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। এবং সে সময়ই আমি তার গর্ভে আসি। উল্লেখ্য, সে সময়ে আমার মা বিধবা ছিলেন। লোক লজ্জার ভয়ে তিনি আমাকে ভ্রুনেই শেষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যগুণে আমি বেঁচে যাই। এবং আমার মায়ের অন্য সন্তানদের দয়া ও ভালবাসায় আমি বেড়ে উঠি। সম্প্রতি আমার মা পচি বেগম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও আমার কোন পরিচয় আজও আমি নিশ্চিত করতে পারিনি। আমার এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের অনান্য টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নানা কাজে যুক্ত মানুষদের রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাই আমিও যুদ্ধ শিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। যাতে করে অন্তত আমার সন্তানরা সমাজের কাছে তাদের মায়ের ইতিহাস নিয়ে বিব্রত না হয়। তাদের মা মুক্তিযুদ্ধেরই একটি অংশ সেটি বলে তারা যেন গর্ববোধ করতে পারে।
বিধায় মহোদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা, উপরোক্ত বিষয় বিবেচনা করত: এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমাকে যুদ্ধ শিশু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে বাচাঁয় সহায়তা করতে আপনার মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক
(মেরিনা খাতুন)
পিতা: মৃত ফাদিল আকন্দ মাতা: মৃত: পচি বেগম (বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা : ২০৫)
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD