রায়গঞ্জ হাসপাতালটি নিজেই রুগ্ন

Spread the love

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সহ জনবল সংকটে পড়ে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ উপজেলার ৩ লক্ষ্যাধিক গরীব দুখী সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান আ’লীগ সরকার স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোড় গড়ায় পৌছে দিতে রায়গঞ্জে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যায় রুপান্তরিত করেন। অবকাঠামগত উন্নয়ন হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, পরিছন্নতা কর্মীসহ জনবল সংকটের কারণে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সম্বব হচ্ছে না। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট চিকিৎসক পদের সংখ্যা ১৯টি, এর মধ্যে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ৮জন চিকিৎসকের পদ শুণ্য থাকায় চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১১জন। এই ১১ জনের মধ্যে থেকে ২ জন ডাক্তার ডেপুষ্টেশনে অন্য হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। যার ফলে ডাক্তারের সংখ্যা দাড়ায় ৯ জন। পদায়ন না করার জন্য পদ গুলো শুণ্য রয়েছে। জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইণী) দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার স্বপ্না রানী রায় গত ২১-০৮-২০০৬ সালে রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করে অদ্যাবদী স্ব-পদে বহাল থাকলেও নিয়মিত অনুপস্থিত থাকার কারণে নারী, শিশু ও প্রসূতি রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য সেবা চরম ভাবে ভেঙ্গে পড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা এ.কে.এম মোফাখখারুল ইসলাম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আমিমুল ইহসান তৌহিদ দুজনে মিলে জনবল সংকটে থাকা রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগীদের সঠিক সেবা প্রদান, পরিস্কার পরিছন্নতা ও শোভা বর্ধনের লক্ষে বাগান নির্মাণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে আধুনিকায়নের প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ধানগড়া ইউনিয়নের বিলচন্ডী গ্রামের ভুক্ত ভোগী বেবী রানী নাগের স্বামী সুবীর নন্দী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ হাসপাতাল থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল। হাসপাতালতো নয় যেন মরণ ফাঁদ। এ হাসপাতালের উপর নির্ভর করে থাকলে স্বাভাবিক রোগে আক্রান্ত রোগীরাও চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মৃত্যু বরণ করবে। কারণ এই হাসপাতালটি নিজেই রুগ্ন।  কতিপয় চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হতে পারছে না হাসপাতালটি। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অন্যত্র বদলী করা প্রয়োজন। সরজমিনে হাসপাতাল ঘুরে ও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন রয়েছে যা তিন দশক যাবদ বিকল। আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও ডাক্তার নাই। ইসিজি মেশিন পড়ে আছে বিকল হয়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যবহারের জন্য গাড়ি বরাদ্দ থাকলেও অদ্যবদি তা প্রদান না করে, ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আমিমুল ইহসান তৌহিদের সাথে সরাসরি কথা বলা হলে, তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অর্ধেক চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়,পরিছন্নতা কর্মীসহ জনবল সংকটের কারণে ৩ লক্ষাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মাত্র ২ সপ্তাহ আগে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রশাসনিক অনুমোদন মিললেও স্টাফ প্যার্টান ও স্টাফ নিয়োগ না দেওয়ায় এ অঞ্চলনের জন সাধারণ সঠিক স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD